হিন্দু ধর্মের সকল শুভ কাজে ঘণ্টা ব্যবহার করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, ঘণ্টা বাজানো ছাড়া ধর্মীয় কাজ সম্পন্ন হয় না। ঘণ্টার আওয়াজও নেতিবাচকতা দূর করে বলে মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে, আজ আমরা আপনাকে বলব কত ধরনের ঘণ্টা রয়েছে এবং কেন শুধুমাত্র গরুড় ঘণ্টাই বাড়ির মন্দিরে ব্যবহার করা হয়।
ঘণ্টার প্রকার
ঘণ্টা প্রধানত ৪ প্রকার। যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট ঘণ্টা গরুড় ঘণ্টা, আর সবচেয়ে বড় ঘণ্টাটিকে এর বড় হওয়ার কারণে ঘন্টাও বলা হয়। ঘণ্টা প্রায়ই বড় মন্দিরে দেখা যায়। এ ছাড়া দুটি ঘণ্টা, দরজার ঘণ্টা এবং হাতের ঘণ্টা রয়েছে। আসুন জেনে নেই এই ঘণ্টাগুলোর গুরুত্ব সম্পর্কে।
গরুড় ঘণ্টা
আমরা বাড়ির পূজার স্থানে বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই ঘণ্টা ব্যবহার করি। এই ঘণ্টাটি সহজেই হাত দিয়ে বাজানো যায়। এই ঘণ্টার উপরের অংশে গরুড় তৈরি করা হয়, তাই একে গরুড় ঘণ্টা বলা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, গরুড় হলেন ভগবান বিষ্ণুর বাহন এবং তাঁর মাধ্যমে ভক্তদের ইচ্ছা ভগবানের কাছে পৌঁছায়। এর পাশাপাশি ঘর থেকে বাস্তু দোষ দূর করতেও গরুড় ঘণ্টা খুবই উপকারী। তাই বাড়ির মন্দিরে গরুড় ঘণ্টা ব্যবহার করা হয়।