হিন্দু ধর্মে মন্ত্র জপ করা উপকারী বলা হয়। মন্ত্র জপ করে আমরা মানসিক শান্তি পাই এবং একই সাথে আমরা ইতিবাচক শক্তিতে পরিপূর্ণ হই। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী অনেক মানুষ এখনও মন্ত্র উচ্চারণ করে দিন শুরু করেন। এই সমস্ত মন্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ মন্ত্র হল ‘ওম’, একে সৃষ্টির ধ্বনিও বলা হয়। ‘ওম’ মন্ত্র জপ করার নিয়ম ও উপকারিতা কী এবং কেন একে সৃষ্টির ধ্বনি বলা হয়, আসুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
ওমকে সৃষ্টির ধ্বনি বলা হয় কেন?
মনে করা হয় সৃষ্টির আদিতে সর্বত্র শুধু ‘ওম’ ধ্বনিই প্রচলিত ছিল। আজও ওম ধ্বনি মহাবিশ্বে বিরাজমান এবং এই জগৎ বিলুপ্ত হয়ে গেলেও কেবল এই ধ্বনিই থাকবে। ওম সম্বন্ধে ছান্দোগ্যোপনিষদে লেখা আছে যে, ‘ওম ইত্যেত অক্ষরঃ’ অর্থাৎ এটি এমন একটি শব্দ যা অবিনাশী, যা কখনো বিনষ্ট হয় না। তাই ওমকে সৃষ্টির ধ্বনি এবং মৌলিক বীজ মন্ত্রও বলা হয়। আসুন এখন জেনে নিই ওম মন্ত্র জপ করার নিয়ম কি এবং এটি জপ করলে আপনি কি কি উপকার পেতে পারেন।
এই হল মূল বীজ মন্ত্র ওম জপ করার নিয়ম
আপনি যদি ওম মন্ত্র উচ্চারণ করে সিদ্ধি অর্জন করতে চান তবে আপনার এটি সর্বদা নির্জন স্থানে উচ্চারণ করা উচিত।
মাটিতে বসে এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে।
সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়কে ওম জপ করার সেরা সময় বলে মনে করা হয়।
ওম পাঠ করার সময় দুই চোখের মাঝখানে অর্থাৎ তৃতীয় চোখের দিকে মনোযোগ রাখতে হবে।
এই মন্ত্রটি জপের পর কিছুক্ষণ শান্ত থাকতে হবে। ধ্যান আপনার শ্বাসের উপর ফোকাস করা উচিত।
আপনি ওম জপ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা রাখুন এবং সেখানে প্রতিদিন মন্ত্র জপ করুন।
মন্ত্র জপ করার সময় আপনার মেরুদণ্ড সোজা থাকতে হবে।
ওম মন্ত্র জপ করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়
আপনি যদি প্রতিদিন ওম জপ করেন, তাহলে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের অসাধারণ পরিবর্তন দেখতে পাবেন। স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং আপনার মুখে উজ্জ্বলতা দেখা দেয়।
এই মন্ত্রটি পাঠ করলে মানসিক চাপ দূর হয়। যদি আপনার মন বিক্ষিপ্ত থাকে তবে আপনাকে অবশ্যই ওম জপ করতে হবে।
ক্রমাগত মূল বীজ মন্ত্র ওম জপ করার মাধ্যমে, হৃদস্পন্দনও স্বাভাবিক থাকে এবং আপনি হার্ট সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হন না।
এই মন্ত্রটি আপনাকে সর্বদা শক্তিমান রাখে। এর পাশাপাশি হজম সংক্রান্ত অনেক সমস্যাও দূর হয়।
যারা অনিদ্রায় ভুগছেন তারা এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করে গভীর ঘুম পান।
শুধু ওম পাঠ করা আপনাকে সমস্ত মন্ত্রের ফলাফল প্রদানের জন্যও বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি সমস্ত মন্ত্রের মূল বীজ মন্ত্র।
গোপথ ব্রাহ্মণ গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, পূর্ব দিকে মুখ করে কুশের ভঙ্গিতে বসে হাজার বার ওম মন্ত্র উচ্চারণ করলে আপনার কাজ সিদ্ধ হতে শুরু করে।
Read More : প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ করলেন ফারুক আবদুল্লাহ, বললেন- ‘বক্তৃতায় দেশ ভাঙার হুমকি’
