শিবসেনা ঠাকরে গ্রুপ (ইউবিটি) প্রধান এবং মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বৃহস্পতিবার নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন। এই ঘোষণাপত্রের কেন্দ্রবিন্দু হল কৃষি ঋণ মকুব, চাকরি এবং মহারাষ্ট্রের ‘লুটপাট’ বন্ধ করা। উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, আগামীকাল মহারাষ্ট্রে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আমরা সবাই নিশ্চয়ই শুনেছি যে বলা হয়েছিল যে রাম জপ করলে ভূত পালায়। আমি সত্য না মিথ্যা জানি না। বিজেপির অবস্থা এখন অদ্ভুত। যেহেতু বিজেপি এখন পরাজয়ের মুখে, এখন রাম-রাম জপ করছে।
তিনি বলেন, আমরা জোটের সাংবিধানিক দল হিসেবে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তটা এখনো আমার চোখের সামনে। বিস্মিত স্বয়ং রাষ্ট্রপতিও। কারণ বহু বছর পর দেশে কোনো দল ক্ষমতায় এসেছে। তখন বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছুঁয়েছিল। এরপর তিনি বিমুদ্রাকরণ করেন। এরপর 2019 সালে তারা আবার ক্ষমতায় আসে। তারা 370 ধারা তুলেছে, আমরা তখনও তাদের সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু এখন তার নিষ্ঠুর ইচ্ছা সামনে এসেছে। তারা পাশবিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা চায় যাতে তারা দেশের সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে, দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে পারে। এটি তার স্বপ্নের প্রকাশ।
উদ্ধব ঠাকরে একটি ইস্তেহার জারি করে একথা জানিয়েছেন
তিনি বলেন, কংগ্রেস তাদের ইস্তেহার পেশ করেছে। শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি তাদের ইশতেহার তৈরি করেছে। আমি শুরুতেই ঘোষণা করেছিলাম যে, যখন প্রয়োজন মনে হবে তখনই আমরা আমাদের অঙ্গীকার ত্যাগ করব। শিবসেনার পক্ষ থেকে আমরা একটি অঙ্গীকার করছি। উদ্ধব ঠাকরে বলেছিলেন যে এই উদ্যোগের শুরুতে আমাকে উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে বলার দরকার নেই। শিবসেনার পক্ষ থেকে আমি জনসাধারণকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
মহারাষ্ট্রে জোট সরকার গঠন করা হবে
তিনি বলেছিলেন যে একটি ফাঁপা ডবল ইঞ্জিন সরকার জোট সরকারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে মহারাষ্ট্র লুট করার পরিকল্পনা চালাচ্ছে। স্পষ্টতই কেন্দ্রের আশীর্বাদ তাঁর রয়েছে। মহারাষ্ট্রে শিল্প ছিনতাই করা হচ্ছে। হীরার ব্যবসা ছিনতাই হচ্ছে, ক্রিকেট ম্যাচ ছিনতাই করা হচ্ছে। ফিল্মফেয়ার ইভেন্ট হাইজ্যাক করা হচ্ছে। সবকিছু ছিনতাই করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের সম্মান লুট করা হচ্ছে। উদ্ধব ঠাকরে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত জোট সরকার গঠনের পর আমরা এই লুটপাট বন্ধ করব।
তিনি বলেন, এখন INDIA জোট সরকার আসবে কেন্দ্রে। এরপর মহারাষ্ট্রে জোট সরকার আসবে। এর পর আমরা আরও জোরালোভাবে মহারাষ্ট্রের গৌরব অর্জন করব। আমরা গুজরাট থেকে কিছু ছিনিয়ে নেব না। প্রতিটি রাজ্যকে সম্মান দিন। আমরা সমস্ত রাজ্যকে তাদের যা প্রয়োজন তা দেব, তবে আসুন মহারাষ্ট্রে একটি নতুন আর্থিক কেন্দ্র স্থাপন করি যাতে আমরা যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে পারি।