নিজের ওপর হামলার প্রায় এক সপ্তাহ পর ইরানকে জবাব দিয়েছে ইসরাইল। 13 এপ্রিল সন্ধ্যায় ইরান প্রায় 300 ড্রোন দিয়ে ইসরায়েল আক্রমণ করে। ইরানের হামলায় ইসরায়েলের বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, হামলার অবশ্যই জবাব দেওয়া হবে। শুক্রবার সকালে ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দেয় ইসরাইল।
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরাইল এ পর্যন্ত ইরানের 9টি স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। ইরান ছাড়াও সিরিয়া ও ইরাকে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটিগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরাইল। ইসরায়েল বেশিরভাগ লক্ষ্যবস্তুতে ইউএভি ব্যবহার করেছে। এই হামলার পর এলাকায় পুরো ফ্ল্যাশ ওয়ার ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। বিপদের পরিপ্রেক্ষিতে ইরান তাদের সব যাত্রীবাহী ফ্লাইট বাতিল করেছে।
ইরান হুমকি দিয়েছে
ইসরায়েল হামলার জবাব দেওয়ার কথা বলার পর ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, যদি ইসরাইল এই হামলার জবাব দেয়, তাহলে আমরা কোনো বিলম্ব না করে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ইসরায়েলের ওপর হামলা করব। এখন ইসরাইল হামলা করেছে, এখন দেখতে হবে ইরান এই হামলার জবাব কী মাত্রায় দেবে।
পারমাণবিক প্ল্যান্ট শহর আক্রমণ
ইরানের ইসফাহান শহর থেকে ইসরায়েলের হামলার কিছু ছবি উঠে এসেছে। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রও রয়েছে এই শহরে। এই শহরটি একভাবে ইরানের সামরিক রাজধানী এবং আইআরজিসির সদর দপ্তরও এই শহরেই রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই হামলায় বড় ধরনের কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ খবরে ইরানের প্রতিক্রিয়া
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, ইরান বলেছে যে তারা ইসফাহানের কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শুনে বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এতে আরও দাবি করা হয়, বর্তমানে দেশে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।