প্রায় 26,000 চাকরি বাতিল করা হয়েছে এবং রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে। সবাই চরিত্রের জন্য স্লোগান দিচ্ছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এসএসসি যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বিষয়ে মুখ খুললেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তের পর তাকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে, যার মধ্যে একটি হলো এসএসসি কেন যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা দিল না? সিদ্ধার্থ মজুমদার দাবি করেছেন যে সমস্ত তথ্য হলফনামা আকারে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা হলফনামা আকারে পেশ করা হয়েছিল।
এদিন এসএসসি চেয়ারম্যান তারিখ উল্লেখ করে বলেন, প্রথম হলফনামা দেওয়া হয়েছিল 13 ডিসেম্বর। এতে এক দফাও সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। আবারো হলফনামা দিতে বলেছেন। পরে 18 ডিসেম্বর তিনি আরেকটি হলফনামা দেন। একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে যাতে 775 জনের নবম-দশম শ্রেণির সনদ 17 নং বিধি প্রয়োগ করে বাতিল বা বাতিল করা হয়েছে। এসএসসি চেয়ারম্যান নিজে হাইকোর্টে হাজির হন। একটি পরিসংখ্যান প্রতিবেদন পরে দেওয়া হয়।
সিদ্ধার্থবাবু জানান, ওই রিপোর্টে 775 জনের নাম ছিল। আরও 33, যাদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়নি। ওএমআরে সমস্যা ছিল, তার নাম এবং রোল নম্বর জমা দেওয়া হয়েছিল। আরও 183 জনের নাম ছিল নবম-দশম, যাদের কিছু সমস্যা ছিল। এদিকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 771 জন শিক্ষার্থীর নামও জমা পড়েছে, যাদের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। অর্থাৎ এসএসসির দাবি, এসএসসি যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা দিয়েছে। কিন্তু আদালত তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। ফলে এই কাজ বাতিল।
Read More : Recruitment Scam: 800 প্রার্থীকে 2 মাসের মধ্যে চাকরি দিতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের