কলকাতা: ফরেনসিক রিপোর্টে শনাক্ত হয়েছে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে
র কণ্ঠস্বর। সূত্রের খবর, ‘কাকু’ সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে সুজয় কৃষ্ণ বারবার অস্বীকার করতে থাকেন। তাহলে গোয়েন্দারা কি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় কোনো ক্লু পাবে? প্রশ্ন জাগে।
আসলে কালীঘাটে কাকুর কণ্ঠের পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। এর আগে, ইডি নমুনা নেওয়ার সময় এমএসভিপি দ্বারা থামানো হয়েছিল। যা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থা। সুজয় ভদ্রকে অবশেষে এই বছরের জানুয়ারিতে ভয়েস নমুনা সংগ্রহের জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে যেদিন গুপ্তচররা প্রথম সুজয়ের বাড়িতে হানা দেয়, তদন্তকারী সংস্থার আরেকটি দল রাহুল বেরার বাড়িতে হানা দেয়। এই রাহুল বেরা পেশায় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। ইডির দাবি, ‘কাকুর’ সুজয়কৃষ্ণও ভাদ্রের ঘনিষ্ঠ। এদিন অভিযানে রাহুল বেরার ফোন বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
আধিকারিকদের দাবি, রাহুল বেরা নামে এক নাগরিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে এক ব্যক্তির টেলিফোন কথোপকথনের ফাইল পেয়েছে ইডি। ইডির দাবি, ওই ব্যক্তি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইডির দাবি, অডিও ক্লিপিংয়ে রাহুলকে তার মোবাইলে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মুছে দিতে বলতে শোনা যায়। এই কাকের কণ্ঠের নমুনা নিয়েছে ইডি। নমুনা পরীক্ষার পরে, সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে সুজয় কৃষ্ণই সিভিক ভলান্টিয়ারের সাথে কথা বলছেন।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সবাই জানেন যে এই ভয়েস নমুনা পাওয়া যাবে।” কিন্তু এই ভয়েস নমুনার ভিত্তিতে হরিপালের মতো ডাকাত ধরা পড়লে মানুষ তা মেনে নেবে না।” অন্যদিকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।