উত্তরপ্রদেশের বান্দায় এক মহিলার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হলে তিনি তার দুই সন্তানকে নিয়ে যমুনা নদীর ব্রিজে পৌঁছে যান। সেখানে শিশু দুটির হাত ধরে ঝাঁপ দেন ওই নারী। এ কারণে তিনজনেরই মৃত্যু হয়। তিনজনের মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ডুবুরিদের সহায়তায় তিনজনের মরদেহ নদী থেকে বের করা হয়।
পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনাটি কামাসিন থানা এলাকার দাদাউ ঘাট যমুনা নদীর। এখানকার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর। তিনি একটি ইটের ভাটায় কাজ করেন। পরিবারে স্ত্রী ও ছোট দুই সন্তান ছিল। রাজেশ টিবিতে আক্রান্ত। বুধবার তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ নিতে যান। বিকেলে ফিরে এলে তার স্ত্রী বলেন চলো কাজে যাই। কিন্তু রাজেশ যেতে রাজি হননি। রাজেশের স্ত্রীও সেখানে তার সঙ্গে কাজ করতেন।
কাজে যাওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এত ঝগড়া হয়েছিল যে রাজেশ রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে চলে যায়। আসলে, রাজেশ বলছিলেন যে এখন প্রচণ্ড সূর্যালোক রয়েছে তাই তিনি সন্ধ্যায় কাজে চলে যাবেন। এসময় তার স্ত্রী বলছিলেন, তাকে এখন কাজে যেতে হবে। স্বামী না শুনলে স্ত্রীর খারাপ লাগে। এরপর দুই সন্তানকে নিয়ে ব্রিজের কাছে পৌঁছান স্ত্রী। সেখানে তিনি শিশুদের হাত ধরে যমুনা নদীতে ঝাঁপ দেন। তারা যখন নদীতে ঝাঁপ দিল, সেখানে কেউ তাদের এমন করতে দেখেছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ডুবুরিরা নদীতে তিনজনকে খুঁজতে থাকে। পরে তাদের লাশ নদী থেকে বের করা হয়।
কান্নার কারণে স্বামীর অবস্থা খারাপ
বলে রাখি, বাচ্চাদের বয়স ছিল খুব কম। কাজলের বয়স তখন ৫ বছর। অথচ দীপকের বয়স তখন মাত্র তিন বছর। পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি মৃতদেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি জানান, সামান্য বিরোধের জের ধরে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু স্ত্রীর মনে কী চলছে তা তিনি জানতেন না। ঘটনার পর রাজেশের অবস্থা খারাপ এবং কাঁদছে।