পৃথিবী রহস্যে ভরা, বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত এটি সম্পর্কিত গবেষণায় নিযুক্ত রয়েছেন। এবার এক চমকপ্রদ গবেষণায় উঠে এসেছে, এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আসলেই কি পৃথিবীর মূল অংশে ফুটো আছে? আসুন আমরা আপনাকে বলি যে কানাডার আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের বাফিন দ্বীপে প্রবাহিত 62 মিলিয়ন বছরের পুরনো লাভার উপর একটি গবেষণা চালানো হয়েছিল।
নেচার জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিলিয়াম-4 এবং হিলিয়াম-3-এর সর্বোচ্চ অনুপাতের পাশাপাশি একটি তৃতীয় আইসোটোপও রয়েছে যা সবসময় আগ্নেয় শিলায় থাকে। গবেষক দল বলেছে, কোনো পার্থিব স্থানে এত উচ্চ মাত্রার হিলিয়াম-৩ পাওয়া একটি বড় আবিষ্কার। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে হিলিয়াম -3 এর প্রকৃতির কারণে একটি অত্যন্ত বিরল উপাদান।
আগ্নেয়গিরির পৃষ্ঠে হিলিয়াম-3 খুঁজে পাওয়ার অর্থ কী?
হিলিয়াম-3 ভূপৃষ্ঠে পৌঁছানোর সাথে সাথে এটি বায়ুমণ্ডলে দ্রবীভূত হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়। যদি এটি একটি আগ্নেয়গিরির পৃষ্ঠে পাওয়া যায় তবে এর অর্থ হতে পারে যে এটি পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে (কেন্দ্রে) উদ্ভূত হয়েছে। এই হিলিয়াম-3 যদি পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে উঠে আসে, তাহলে পৃথিবীর কেন্দ্র সিলগালা করা হয়েছে এমন দাবি নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
কী বললেন বিজ্ঞানী?
বলা হচ্ছে, যদি এটা প্রমাণিত হয় যে হিলিয়াম-3 এর উৎপত্তি পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল থেকে, তাহলে তা বিজ্ঞানীদের পৃথিবী নিয়ে আরও গবেষণা করতে সাহায্য করবে। উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশনের ভূ-রসায়নবিদ ফরেস্ট হর্টন ভাইস-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “আমরা পৃথিবীর মূল সম্পর্কে খুব কমই জানি, এটির অস্তিত্ব ছাড়া।” তিনি আরও বলেন যে এই আবিষ্কারটি দেখায় যে পৃথিবীর মূল পূর্বের ধারণার চেয়ে বেশি গতিশীল।
আমরা আপনাকে বলি যে লাভার নমুনাটি ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশন থেকে ভূ-রসায়নবিদদের একটি দল সংগ্রহ করেছিল। এই গবেষণাটি বলছে যে যদি হিলিয়াম-3 কোর থেকে আসছে, তবে এর চারপাশে অন্যান্য ধাতুও থাকা উচিত যা পৃথিবীর কেন্দ্রের অবস্থা বুঝতে সাহায্য করতে পারে।