কলকাতা: রাজ্যে নতুন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কিছু হাই প্রোফাইল নাম প্রকাশ্যে এসেছে। একদিকে জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম, অন্যদিকে তৃণমূল যুব নেতা তৃণঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। তবে বর্তমানে রাষ্ট্রের কোনো লাভ হয়নি। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয়নি। এ বিষয়ে সরকারের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
পাহাড় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। রাজ্য তখন আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবগনামের নেতৃত্বে একটি ডিভিশন বেঞ্চের কাছে যায়। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে প্রশ্ন করে, “পাহাড় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে সমস্যা কোথায়?” এই বিষয়ে রাজ্যকে জানানো উচিত।
১৮ এপ্রিল দুপুর ২টায় ফের শুনানি হবে। বর্তমানে কোনো অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি। আদালত রাজ্যকে সমস্ত নথি প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে। আইনজীবী এবং বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য রাজ্যের পদক্ষেপের সমালোচনা করে একে ‘তৃণমূল সরকারের বিলাসিতা’ বলে অভিহিত করেছেন। “যদিও এটি একটি আইনি অধিকার, এটি নীতির প্রশ্ন,” তিনি বলেছিলেন। দুর্নীতি হয়েছে, তদন্ত হবে। মামলা-মোকদ্দমায় জনগণের অর্থ অপচয় হচ্ছে।জানা গেছে, পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অনেক অভিযোগের চিঠি পেয়েছিল সিআইডি। ওই চিঠিতে শাসক দলের অনেক নেতার নাম উঠে এসেছে।