বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ঘিরে বিক্ষোভ। ঘটনাস্থল বসিরহাটের মাটিয়া থানা এলাকার খড়িডাঙ্গা। দুই পক্ষের সংঘর্ষের কারণে এলাকাটি রণক্ষেত্রের মতো লাগছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু শোরগোলে লাইনের প্রমোশন ভুয়া হয়ে যায়।
বিজেপি প্রার্থী রেখার দেওয়ালে কালি লেখার অভিযোগে সোমবার বসিরহাট ব্লক ২-এর খড়িডাঙায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ। কালিদাস বাচার নামে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে বসিরহাট উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রেখার সঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও সেখানে কালিদাসের সঙ্গে দেখা করেন। মঙ্গলবার সকালে ফের শোরগোল শুরু হয়।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে খাড়িডাঙ্গায় যান রেখা। সেখানে অর্চনা মজুমদারের মতো বিজেপি নেতারাও ছিলেন। কিন্তু সকালে রেখাকে গ্রামে দেখার পর বিষয়টি আবার উত্তপ্ত হতে থাকে। বিভিন্ন স্থানে লাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রেখার অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা সবাই তৃণমূলের মানুষ। তাদের উদ্দেশ্য প্রতিবাদ জানানো নয়, রেখার প্রচার প্রচার করা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। তর্ক-বিতর্ক মারামারির দিকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই খাড়িডাঙ্গা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। গ্রামের মহিলারা রেখাকে ঘিরে ধরে নানা প্রশ্ন করেন। রেখাও মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। বিজেপি প্রার্থীদের আঙুল তুলে গ্রামবাসীর সঙ্গে ঝগড়া করতে দেখা যায়। নিরাপত্তারক্ষীরা সঙ্গে সঙ্গে রেখাকে সেখান থেকে থামায়। বিজেপি নেত্রী অর্চনা দাবি করেছেন, বিক্ষোভকারীরা তাকে মারধর করেছে।বিজেপির অভিযোগ, খড়িডাঙ্গা গ্রামের প্রধান সমীর বাচার, তার ভাই মৃণাল বাচার এবং সিভিক ভলান্টিয়ার বাবলু বাচার এই হামলা চালিয়েছে। বিজেপির দাবি, বিজেপি প্রার্থী রেখাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে। বিজেপির দাবি, রেখা ছাড়াও অর্চনা মজুমদার ও দুলাল রায়ও আহত হয়েছেন।