আচার্য চাণক্য মহান ব্যক্তিত্বে সমৃদ্ধ ছিলেন। তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন আচার্য অনেক রচনা রচনা করেন। এই রচনাগুলির মধ্যে একটি হল নীতিশাস্ত্র, যা চাণক্য নীতি নামেও পরিচিত। এই রচনায়, আচার্য চাণক্য মানুষের উন্নতির জন্য তাঁর জীবনের কঠোর দৃঢ়তার নিংড়ে লিখেছেন, যাতে অন্যদের তাকে সহ্য করতে হয় এমন কষ্টের সম্মুখীন হতে না হয়। আচার্য চাণক্যের এই গ্রন্থে যা বলা হয়েছে তা আজকের সময়েও একেবারে সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে। আচার্যের শিক্ষা এবং তাঁর নীতিগুলি বোঝার মাধ্যমে, আপনি জীবনের সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি হতে পারেন। এখানে আচার্যের বলা সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানুন যা আপনার জন্য খুব দরকারী প্রমাণিত হতে পারে।
একজন বিবেকবান মানুষের উচিত তার ইন্দ্রিয় দিয়ে সারসের মতো কাজ করা এবং স্থান, সময় এবং নিজের যোগ্যতা বুঝে তার কাজ প্রমাণ করা। তাহলেই সমাজে তার সম্মান, সম্মান ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়।
একজন মূর্খ ব্যক্তি তার দোষ দেখে না, সে সবসময় অন্যের দোষ দেখে। এই ধরনের লোকদের সাথে তর্ক করা এড়িয়ে চলা উচিত। এই ধরনের লোকেরা নিজেরাই নেতিবাচক এবং অন্যদেরকে একই রকম করার চেষ্টা করে। তারা যে ভাষায় কথা শুনতে চায় তা বলা উচিত।
ধন, বন্ধু, স্ত্রী ও রাজ্য ফিরে পাওয়া যায়, কিন্তু এই দেহ ফিরে পাওয়া যায় না। তাই সবার আগে এই শরীরের যত্ন নিন। যদি এটি শক্তিশালী হয় তবে আপনি যে কোনও সময় যে কোনও কিছু করতে সক্ষম হবেন।
আপনি ভবিষ্যতে কি করতে চান তার পরিকল্পনা প্রকাশ করবেন না। আপনি যদি তাতে সফল না হন, তাহলে আপনি নিজেকে নিয়ে মজা করবেন। আপনার লক্ষ্যের দিকে নীরবে কাজ করতে থাকুন। সফলতা পাওয়ার পর সেই রহস্য নিজেই খুলে যাবে।
Read More :
ভারসাম্যপূর্ণ মনের সমান কোন তপস্যা নেই। তৃপ্তির সমান সুখ নেই। লোভের মতো কোনো রোগ নেই এবং দয়ার মতো কোনো গুণ নেই।
ঢেকুলী মাথা নিচু করে কূপ থেকে পানি টেনে, মানে ভন্ড বা পাপীরা সবসময় মিষ্টি কথা বলে তাদের কাজ সেরে ফেলে। তাই যারা খুব মিষ্টি কথা বলে তাদের থেকে সবসময় সাবধান।