আপনিও যদি আম খেতে শৌখিন হন এবং প্রতিদিন আপনার নাস্তার টেবিলে ম্যাঙ্গো শেক দেখতে ও পান করতে চান, তাহলে অবিলম্বে আপনার অভ্যাস ও স্বাদ পরিবর্তন করুন। হ্যাঁ, আয়ুর্বেদ একই কথা বলে। আসলে, আয়ুর্বেদ অনুসারে, একজন ব্যক্তিকে ম্যাঙ্গো শেক পান করার ফলে অনেক স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। চলুন জেনে নিই তাদের সম্পর্কে।
আয়ুর্বেদ কি বলে-
আয়ুর্বেদ অনুসারে আম এবং দুধ দুটোই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। দুধ ও আম উভয়ের প্রকৃতিই একে অপরের বিপরীত। এই দুটির সংমিশ্রণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দুধ হজমের পর মিষ্টি আর আম হজমের পর টক। দুধ এবং আম উভয়েরই হজম পরবর্তী প্রভাব একে অপরের থেকে আলাদা। এগুলি আপনার বিপাককে প্রভাবিত করে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি এবং টক্সিন সৃষ্টি করতে পারে।
বেশি পরিমাণে ম্যাঙ্গো শেক পানের অসুবিধা-
শরীরের তাপ বাড়াতে পারে
আমের স্বাদ গরম। ম্যাঙ্গো শেক আপনাকে অল্প সময়ের জন্য ঠাণ্ডা অনুভব করতে সাহায্য করতে পারে, তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া শরীরের তাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
স্থূলতা-
আপনি যদি ওজন কমানোর ডায়েট অনুসরণ করেন, তাহলে ম্যাঙ্গো শেক থেকে দূরে থাকুন। আমে ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি, যা ওজন বাড়াতে কাজ করতে পারে। এই কারণেই ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা ওজন কমানোর চেষ্টা করা ব্যক্তিদের ম্যাঙ্গো শেক খাওয়া এড়াতে পরামর্শ দেন।
হজম-
হজমের সমস্যা থাকলে ম্যাঙ্গো শেক অতিরিক্ত সেবন এড়িয়ে চলুন। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে পান করা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং ব্যক্তির বমি, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব এবং ফুসফুসের মতো সমস্যা সৃষ্টি করে।
ডায়াবেটিস-
ডায়াবেটিস রোগীদের খুব বেশি মিষ্টি খেতে নিষেধ এবং আমে প্রাকৃতিক চিনি পাওয়া যায়। ম্যাঙ্গো শেক বেশি পরিমাণে সেবন করলে চিনির মাত্রা বাড়তে পারে।
Read More :
ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে
দুধ এবং আমের এই মিশ্রণের কারণে কিছু লোকের ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে। ম্যাঙ্গো শেক পান করলে ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি ও দাগ দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ-
এমন নয় যে আমরা যদি এই নিবন্ধে ম্যাঙ্গো শেক পানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কথা বলি, তবে আমের মধ্যে উপস্থিত সমস্ত বৈশিষ্ট্য অস্বীকার করা হচ্ছে। আম খাওয়া মানুষের জন্যও অনেক উপকারী। কিন্তু আপনি যদি আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা উপভোগ করতে চান, তাহলে সরাসরি কেটে সীমিত পরিমাণে খান।