বিহারের মতিহারী জেলার পাহাড়পুর থানা এলাকায় একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উচ্ছৃঙ্খল স্বামী তার স্ত্রী ও তিন মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘুমন্ত অবস্থায় চারজনের গলা কেটে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। হত্যার পর অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশে ছিল মানুষের ভিড়। এদিকে, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। মামলার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
কেস সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
এই হত্যাকাণ্ড এতটাই নৃশংস যে, মানুষ তা জেনে হতবাক। পুরো ঘটনাটি পাহাড়পুর থানার বাভারিয়া গ্রামের বলে জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গতকাল বাড়িতে কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। জানা গেছে, অভিযুক্ত স্বামী ইদু মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রী আফরিনা খাতুনের (৪০) কথা কাটাকাটি হয়। এরপর স্ত্রী ও তিন মেয়েকে মাদক খাইয়ে সবার গলা কেটে ফেলে। নিহত তিন কিশোরীর নাম আবরুন খাতুন, শাবারুন খাতুন ও সাহাজাদী খাতুন। তিন মেয়ের বয়সই ৮ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।
প্রথম স্ত্রী হত্যা মামলায় আসামিও জেলে গেছে
বলা হচ্ছে, খুনি মোহাম্মদ ইদার আগে থেকেই অপরাধপ্রবণতা ছিল। তিনি পাহাড়পুর থানা এলাকার সারেয়ার বাসিন্দা ছিলেন যেখানে তিনি তার প্রথম স্ত্রীকে হত্যার দায়ে জেল খেটেছেন। জেল থেকে বের হয়ে তিনি সারেয়া গ্রাম ছেড়ে বাবরিয়ায় জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেন এবং দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন।
অভিযুক্ত বাবা ইতিমধ্যে এক মেয়েকে খুন করেছে
পশ্চিম চম্পারন জেলার জগদীশপুর থানা এলাকায় অবস্থিত ঝাখড়া গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর চারটি কন্যা ছিল কিন্তু তিনি একটি কন্যাকে ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছিলেন। গ্রামবাসীদের মতে, সে সাইকো এবং তার আচরণ কিছুটা অস্বাভাবিক।
আররাজের এসডিপিও রঞ্জন কুমার জানিয়েছেন, স্বামীর হাতে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে খুনের বিষয়টি সামনে আসছে। চারটি মৃতদেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে অভিযান চলছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম চলছে।