ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলায়, এক ব্যক্তি তার স্ত্রী এবং দুই নাবালিকাকে কুড়াল দিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিল। সোমবার ও মঙ্গলবার মধ্যরাতে মুফাসসিল থানা এলাকার লুদ্রাবাসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
তথ্য অনুযায়ী, লুদ্রাবসায় বসবাসকারী গুরুচরণ পাদিয়া মদ্যপানে আসক্ত। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী জানোর সঙ্গে তার ঝগড়া হতো। মদ খেয়ে রাত আড়াইটার দিকে বাড়ি ফেরেন তিনি। এ নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়। বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে পাদিয়া কুড়াল দিয়ে জানোকে আক্রমণ করে। মায়ের চিৎকার শুনে বড় মেয়ে (পাঁচ বছর বয়সী) জেগে ওঠে। মায়ের কাছে এলে সেও তাকে দেখে চিৎকার করতে থাকে।
তা দেখে পাদিয়া তার মেয়েকেও কুড়াল দিয়ে আক্রমণ করে। মা-মেয়েকে খুন করেও পাদিয়া যখন সন্তুষ্ট ছিল না, তখন সে একইভাবে অন্য ঘরে ঘুমন্ত তার এক বছরের মেয়েকে হত্যা করে। তারপর সেখানেই শুয়ে পড়ল। অন্যদিকে পড়িয়ার বাড়িতে কিছু একটা হয়েছে বলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে তারাও সেখানে পৌঁছে যায়। ভিতরকার দৃশ্য দেখে তারা উড়িয়ে দিল। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও তিনটি মৃতদেহই হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত পাদিয়াকে বুধবার আদালতে পেশ করা হবে। বর্তমানে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে, নেশাই কারণ হয়ে উঠেছে
জানিয়ে রাখি ঝাড়খণ্ডে মদের নেশায় খুনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। প্রকৃতপক্ষে, এর আগেও অনেক ঘটনায় মদের নেশা দায়ী হয়েছে। এর আগে ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলার চাইনপুর থেকেও এমন খবর এসেছিল। এখানে চাইনপুর থানার অন্তর্গত কটকাহি মহুয়া টলি গ্রামে, দীপক তিরকি নামে এক ব্যক্তি তার নিজের স্ত্রী সরোজকে মদ্যপান করতে বাধা দেওয়ায় কুড়াল দিয়ে আক্রমণ করে। এ হামলায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়।