গরুড় পুরাণ: সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, যখন কোনও ব্যক্তির বাড়িতে মৃত্যু হয়, তখন ১৩ দিন ধরে গরুড় পুরাণ পাঠ করা হয়। ১৮ টি পুরাণের মধ্যে গরুড় পুরাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রাখে। যার মাধ্যমে জীবন-মৃত্যু, স্বর্গ, নরক ও মোক্ষ ইত্যাদি বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ মানুষই জানেন না গরুড় পুরাণ কি? এর গুরুত্ব কি? আর মৃত্যুর পর কেন পাঠ করা হয়। এছাড়াও, কেউ জীবিত অবস্থায় গরুড় পুরাণ পাঠ করলে কি হয়? চলুন আজকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাই।
গরুড় পুরাণে কি আছে?
সনাতন ধর্মে ১৮টি পুরাণের উল্লেখ আছে। যার মধ্যে একটি হল গরুড় পুরাণ। এই পুরাণ সম্পর্কে বলা হয় যে এতে জন্ম ও মৃত্যু সম্পর্কিত বিষয়ের তথ্য রয়েছে। সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুসারে, বাড়িতে কেউ মারা গেলে ১৩ দিন ধরে গরুড় পুরাণ পাঠ করা হয়। শাস্ত্রে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই পুরাণে ১৯ হাজারেরও বেশি শ্লোকের উল্লেখ আছে। তবে বর্তমানে যে গরুড় পুরাণের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যাচ্ছে তাতে মাত্র ৮ হাজার শ্লোক রয়েছে।
কেন শুধু মৃত্যুর পর গরুড় পুরাণ পাঠ করা হয়?
সনাতন ধর্মে মৃত্যুর সময় গরুড় পুরাণ পাঠ করার প্রথা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, অন্যান্য পুরাণেও বলা হয়েছে যে যখন মানুষ অকাল মৃত্যুবরণ করে, তখন তার আত্মা ঘুরে বেড়াতে থাকে। বিচরণকারী আত্মাকে পরিত্রাণ প্রদানের জন্য, গরুড় পুরাণ ১৩
দিন ধরে পাঠ করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে গরুড় পুরাণ যে কোনও সময় পাঠ করা যেতে পারে, কারণ এতে জীবনকে সুন্দর করার অনেক গভীর রহস্য রয়েছে। তবে মৃত্যুর পরেই এটি পড়ার প্রথা রয়েছে। এই কারণেই মানুষ সাধারণ দিনে গরুড় পুরাণ পাঠ করে না।