উত্তরাখণ্ড টানেল ধসে উদ্ধার অভিযান সর্বশেষ আপডেট: উত্তরকাশীতে টানেল দুর্ঘটনার 9 দিন হয়ে গেছে। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, 12 নভেম্বর, দীপাবলির দিন ভোর 4 টায়, যাতে নির্মাণাধীন টানেলের একটি অংশ ধসে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণে, 41 জন শ্রমিক এখনও সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে এজেন্সি ও কর্মকর্তারা যুদ্ধের ভিত্তিতে কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সাফল্য পাননি তিনি। রবিবার বিকেলে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি এবং সিএম ধামি ত্রাণ কাজের খতিয়ে দেখতে আসেন। এরপর তিনি বলেন, আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা।
তবে এটা স্বস্তির বিষয় যে 50 ঘণ্টা পর আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। সিল্কিয়ারা টানেল দিয়ে খাবার পাঠানোর জন্য একটি ছোট পাইপ ড্রিল করা হচ্ছে। সেখান থেকে রোবট পাঠিয়ে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
7 দিনে 4টি মেশিন ব্যর্থ হয়েছে
আমরা আপনাকে বলি যে গত 7 দিনে, 4 টি মেশিন উদ্ধারের জন্য এসেছে কিন্তু সবগুলি ব্যর্থ হয়েছে। পিএমওর আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি কৌশল অনুযায়ী এখন পাঁচদিক থেকে ড্রিল করে শ্রমিকদের বের করা হবে।
এভাবেই চলবে অভিযান
প্রথম ধাপ– ইন্দোর থেকে আনা মেশিনটি টানেলের প্রধান ফটক থেকে ড্রিলিং করবে। এর দায়িত্ব জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। এখান থেকে 35 মিটার খনন করতে হলেও পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাথর।
দ্বিতীয় পর্যায়– ওএনজিসি ডান্ডালগাঁও দিক থেকে টানেলের অপর প্রান্ত খনন করবে। এখান থেকে 441 মিটার খনন করতে হয়।
তৃতীয় পর্যায়– BRO টানেলের বাম দিকে মেশিন বহনের জন্য একটি রাস্তা তৈরি করছে। এখানে 172 মিটার অনুভূমিক ড্রিলিং হবে।
চতুর্থ ধাপ– যমুনোত্রী যাওয়ার পুরানো রাস্তার ডানদিকে 320-350 মিটার অনুভূমিক ড্রিলিং করা হবে।
পঞ্চম পর্ব- সিল্কিয়ার থেকে 350 মিটার এগিয়ে, সাতলুজ জল বিদ্যুৎ নিগম প্রতিটি 92 মিটারের দুটি ড্রিলিং করবে। প্রথম ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে শ্রমিকদের খাবার দেওয়া হবে। এই কাজে 2 দিন সময় লাগতে পারে। দ্বিতীয় ড্রিলিংটি 1 মিটারের বেশি চওড়া হবে যার মাধ্যমে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে।