উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলার রোডওয়েজ বাস স্ট্যান্ড মোড়ে আসা একটি বেদনাদায়ক ছবি সবাইকে হতবাক ও বিচলিত করেছে। এই খবরের ভিত্তিতে বলা যায়, মানুষ আজ কতটা ঋণের চাপে, এমনকি নিজের পরিবারের সদস্যদেরও বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। তার বেদনাদায়ক প্রমাণ এই ছবির মাধ্যমে আমাদের সামনে।
এই খবর অনুসারে, এই মামলার প্রধান চরিত্র রাজকুমার নামে একজন বাবা, যিনি ঋণের বোঝায় চাপা পড়েন এবং তার হৃদয়ের একটি টুকরো তার ছেলের কাছে 6 থেকে 8 লাখ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন। তার ছাপানো ছবির প্ল্যাকার্ডে স্পষ্ট লেখা আছে, “আমার ছেলে বিক্রির জন্য, আমাকে আমার ছেলেকে বিক্রি করতে হবে।”
রাজকুমার বলেছেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন, যার ফলস্বরূপ তিনি ঋণখেলাপি হয়ে উঠেছেন এবং এখন তিনি এমনকি তার পরিবারকে সমর্থন করতেও সক্ষম নন। এই করুণ পরিস্থিতিতে যুবরাজ তার ছেলেকে বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা শুনে হতবাক সবাই।
এ ব্যাপারে পুলিশেরও ভূমিকা রয়েছে এবং পুলিশ কেন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠছে। রাজকুমারের দাবি, তিনি পুলিশের কাছে গেলেও কোনও সাহায্য পাননি, ফলে তাঁকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।
এই ঘটনার পর সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সভাপতি অখিলেশ যাদবও এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, “এটি বিজেপির অমৃত কাল, যখন একজন বাবা তার ছেলেকে বিক্রি করার জন্য গলায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে কাঁদতে বাধ্য হন।” এ সমস্যার সমাধান না করে সরকারের নির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ये है भाजपा का अमृतकाल जब एक पिता अपने पुत्र को बेचने के लिए गले में तख़्ती लटकाकर बिलखने को मजबूर है।
इससे पहले कि ये तस्वीर दुनिया भर में फैल जाए और प्रदेश के साथ-साथ देश की छवि संपूर्ण विश्व में धूमिल करे, कोई तो सरकार को जगाए। pic.twitter.com/hZsKY3Hwa7
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) October 27, 2023
এই বিষয়ে মহুয়া খেদা থানার ডিএসপি বিশাল চৌধুরী বলেছেন যে একটি পরিবার তাদের ছেলেকে বিক্রি করার অভিযোগ করলে বিষয়টি তার নজরে আসে। পরে পুলিশ উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে নিয়ে তাদের মধ্যে মীমাংসা হয়।
এ ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি, তবে এ ঘটনা নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও সমালোচনা বাড়ছে। এই মামলাটি সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ আদর্শের জন্ম দিচ্ছে, যা ঘৃণার চাপে মানুষের অসুবিধাগুলিকে দেখায়।
এই সত্য সামনে আসার পর সমাজকে সচেতন হতে হবে এবং সরকারকে এ ধরনের বিষয়গুলো বিবেচনা করে সমাধানে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সমাজে ঘৃণ্যতার কারণে মানুষ কতটা অসহায় হয়ে উঠতে পারে তার একটি সতর্কবাণী হিসেবে এই ঘটনাকে দেখা যায় এবং এর সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।