ইন্দ্র বললেন, মহর্ষি বৃহস্পতি মারুত্তাকে পরিত্যাগ না করে আমার বড় উপকার করেছেন। এখন সেই ঋণ শোধ করতে হবে। মারুত্তা এই যজ্ঞের দায়িত্ব দিয়েছেন বৃহস্পতির ছোট ভাই সম্বর্তকে। বৃহস্পতির ব্যাপারটা মোটেও পছন্দ হয়নি। এখন বৃহস্পতি নিজেই মরুভূমি বলি দিতে চায়। তুমি দ্রুত মরুত্তার কাছে যাও এবং তাকে বল যে সম্বর্ত অপসারণ করে বৃহস্পতিকে তোমার যজ্ঞ দিতে হবে।’
অগ্নিদেব অবাক হয়ে দেখলেন যে বৃহস্পতি তার ছোট ভাইয়ের প্রতি এত ঈর্ষান্বিত। কিন্তু ইন্দ্রকে বোঝানোর চেষ্টা করে লাভ নেই। তাই, অগ্নিদেব নিঃশব্দে মারুতের কাছে গিয়ে ইন্দ্রের বাণী শুনলেন। এ কথা শুনে মরুত শান্ত হলেন কিন্তু সম্বর্ত রাগান্বিত হলেন। বললেন, ‘অগ্নিদেব! ইন্দ্রের দূত হয়ে তুমি ভুল করেছ। আপনি ফিরে যান এবং বৃহস্পতিকে বলুন যে তিনি যেন মারুত্তাকে বলি দেওয়ার চিন্তা থেকে মুক্তি পান। আর যদি আপনি আবার এখানে আসেন, আমি যোগ দিয়ে আপনার ক্ষমতা কেড়ে নেব।
খবর শুনে ভয় পেয়ে গেলেন অগ্নিদেব। তিনি নিঃশব্দে ফিরে এসে ইন্দ্রকে সব খুলে বললেন। অভিসারের হুমকি শুনে ইন্দ্র ক্রুদ্ধ হয়ে বললেন, অগ্নি! আমি তোমাকে রসূল হিসেবে পাঠিয়েছি। কনভারজেন্স তোমাকে অপমান করে আমাকে অপমান করেছে। এর জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। আপনি আবার সম্বর্তে গিয়ে বলুন, তিনি যদি এই সময়ে মারুত যজ্ঞ থেকে বিরত না হন তবে আমি তাকে বজ্রপাত করে হত্যা করব।’
ইন্দ্রের আদেশে অগ্নিদেব সমস্যায় পড়েন। একদিকে ইন্দ্রের আদেশ, অন্যদিকে অভিসার বিপদ! অগ্নিদেবের দ্বিধা দেখে ইন্দ্র তাকে ব্যাখ্যা করলেন, ‘তোমার ক্ষমতা আছে সমগ্র বিশ্বকে ধ্বংস করার। সম্বর্ত তোমার কি ক্ষতি করবে? তুমি নির্ভয়ে যাও এবং আমার বার্তা পৌঁছে দাও। কিন্তু ইন্দ্রের প্ররোচনা সত্ত্বেও অগ্নিদেব যেতে রাজি হননি। অবশেষে ইন্দ্র মরুতদের কাছে বার্তা দিয়ে একজন গন্ধর্বকে পাঠালেন। এদিকে ইন্দ্র আকাশে এত গর্জন করতে লাগলেন যে মারুতরা ভয় পেয়ে গেল। তিনি ভাবলেন ভগবান ইন্দ্র যজ্ঞকে বৃথা করতে চান।
সম্বর্ত মারুত্তাকে অনেক সান্ত্বনা দিলেও মারুত্তার ভয় কাটেনি। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে কোন মূল্যে ইন্দ্রের সাথে শত্রুতা করবেন না। এই ভেবে তিনি অগ্নিদেবের কথা স্মরণ করলেন এবং সাহায্য চাইলেন। অগ্নিদেব তার দিকে তাকিয়ে কানে ফিসফিস করে বললেন, ‘বৃহস্পতি ও সম্বর্ত নিজেদের স্বার্থ দেখছেন। তাদের লড়াইয়ে নেমে ইন্দ্রদেবকে আঘাত করা উচিত নয়।