কার্তিক মাসের পূর্ণিমা এই বছর 27 নভেম্বর পড়ছে। কার্তিক মাসের পূর্ণিমার বিশেষ তাৎপর্য শাস্ত্রে বলা হয়েছে। এই দিনে গঙ্গা স্নান এবং দান করার বিশেষ ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। একটি পৌরাণিক বিশ্বাস রয়েছে যে এই কার্তিক পূর্ণিমার দিনে দেবী লক্ষ্মীর সাথে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে তার কাছ থেকে বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এছাড়াও এই দিনে বিশেষ কিছু কাজ করে দেবী লক্ষ্মী ঘরে প্রবেশ করেন। আসুন জেনে নেই কার্তিক পূর্ণিমার শুভ সময় এবং এই দিনে করা বিশেষ কাজগুলি।
কার্তিক পূর্ণিমের প্রতিকার
কার্তিক পূর্ণিমার দিনটি সম্পদের দেবী লক্ষ্মীকে উৎসর্গ করা হয়। এমন দিনে প্রত্যেকেরই উচিত তাদের ঘর পরিষ্কার রাখা। এটা বিশ্বাস করা হয় যে মা লক্ষ্মী শুধুমাত্র পরিষ্কার জায়গায় বাস করেন।
কার্তিক পূর্ণিমার দিন বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে অবশ্যই তোরণ (আমের পল্লব দিয়ে তৈরি) স্থাপন করুন। এছাড়াও, বিশেষ ফল পেতে, আপনি ফুল দিয়ে আপনার ঘর এবং আঙ্গিনা সাজাতে পারেন। এই দিনে বাড়িতে রঙ্গোলি তৈরি করাও শুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে রঙ্গোলি দেবী লক্ষ্মীর খুব প্রিয়।
কার্তিক পূর্ণিমার দিনে প্রদীপ দান করার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই দিনে গঙ্গার ঘাট, নদী, হ্রদ বা পুকুরে প্রদীপ দান করুন। মনে রাখবেন যে এই দিনে, কমপক্ষে দুটি প্রদীপ দান করুন – একটি দেবতাদের জন্য এবং অন্যটি পূর্বপুরুষদের জন্য। বিশ্বাস অনুসারে, এটি করলে দেবতা এবং পূর্বপুরুষ উভয়ের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
স্নান এবং প্রদীপ দান ছাড়াও কার্তিক পূর্ণিমার দিনে দান করার প্রথাও রয়েছে। এমন অবস্থায় এই দিনে চাল, চিনি ও দুধ দান করলে তা শুভ প্রমাণিত হবে।
কার্তিক পূর্ণিমার দিনে পিপল গাছের পূজাও শুভ বলে মনে করা হয়। এমন অবস্থায় এই দিনে অবশ্যই পিপল গাছে জল নিবেদন করুন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে জীবনে ইতিবাচকতা আসে। এর সাথে ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ আশীর্বাদও পাওয়া যায়।
কার্তিক পূর্ণিমার দিনে দেবী লক্ষ্মীর সাথে ভগবান বিষ্ণুরও পূজা করা উচিত। মনে রাখবেন এই দিনে তুলসী থেকে সবুজ পাতা ছেঁড়া উচিত নয়। এই দিনে সবুজ তুলসী পাতা ছিঁড়ে ফেলা পাপ। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ যত্ন নিন।