ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলছে, এতে এ পর্যন্ত 10 হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। যুদ্ধে ইসরায়েল হামাসের পাশাপাশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াই করছে। হামাস ও হিজবুল্লাহ উভয় সন্ত্রাসী সংগঠনই ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে। ইসরাইলও পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। এদিকে শনিবার রাতে ইসরায়েল গাজায় বিমান হামলা চালায়, যাতে বহু মানুষ মারা যায়।
বিমান হামলায় 51 জনের মৃত্যু হয়েছে
শনিবার রাতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী অন্তত 51 ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের অধিকাংশই ছিল নারী ও শিশু। এর পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় বহু বাড়িঘরও বিধ্বস্ত হয়েছে। এমনকি বড় বড় দালানগুলোও মাটিতে ভেসে গেছে। ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর পাশাপাশি স্থল বাহিনীও গাজায় অবস্থান করছে।
এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের 9488 জন মারা গেছে
গাজায় হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার 231 জন মারা গেছে। এ পর্যন্ত 9488 ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে 3900 শিশু এবং 2509 জন নারী রয়েছে। হামলায় এখন পর্যন্ত 24 হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। একই সময়ে, পশ্চিম তীর এলাকায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত 140 জন নিহত হয়েছে।
হামাসের রকেট আকাশে ধ্বংস করেছে ইসরাইল
ইসরায়েলের তীর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইলাত শহরের আরভাতে একটি রকেট ধ্বংস করেছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে। আমরা আপনাকে বলি, এই রকেটটি গাজা উপত্যকা থেকে ছোড়া হয়েছিল। রকেট নিক্ষেপের দায় স্বীকার করেছে হামাস। হামাস বেশ কয়েকটি আয়াশ-২৫০ রকেট নিক্ষেপ করেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তেহরানে ইরানের খামেনির সঙ্গে দেখা করেছেন হামাস প্রধান
হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ সম্প্রতি তেহরান সফর করেছেন। এ সময় তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে হামাসের সিনিয়র নেতা ওসামা হামদান তেহরান সফর সম্পর্কে আর কোনো তথ্য দেননি।