গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা ক্রমাগত বাড়ছে। বিমান হামলার পর ইসরায়েলও তাদের স্থল অভিযান জোরদার করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ গাজা থেকেও একটি ফ্রন্ট খুলেছে। খবরে বলা হয়েছে, হাজার হাজার ইসরায়েলি সেনা গাজায় প্রবেশ করেছে। উত্তর গাজায় লাগাতার হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলের অবস্থান থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে এই যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে চলেছে, কারণ তারা বলছে যে গাজা পুরোপুরি উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত তারা গাজা আক্রমণ চালিয়ে যাবে। চারদিক থেকে এসব হামলা চালানো হবে।
এ যুদ্ধে এ পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। মনে হচ্ছে এই যুদ্ধ বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হবে, কারণ আমেরিকা সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত সংগঠনের ঘাঁটিতেও হামলা চালিয়েছে। আমেরিকা বলছে, ইরানের প্ররোচনায় এখানে মোতায়েন করা সৈন্যদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে, যার জবাবে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ এখনো চলছে। মনে হয় দ্বন্দ্বের আগুনে পুড়বে গোটা পৃথিবী। একই সঙ্গে ইরানও ক্রমাগত ইসরায়েলকে হুমকি দিচ্ছে।
পুরো গাজা অন্ধকারে নিমজ্জিত এবং সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে যে ছবি আসছে তা শুধু ভীতিকরই নয় উদ্বেগজনকও বটে। যুদ্ধের কারণে সাধারণ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেখানকার মানুষ খাবার, পানি ও চিকিৎসা পর্যন্ত পাচ্ছে না।
আজ 7 অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধের 22 তম দিন। গাজায় ইসরাইল ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ চালানোর মেজাজে রয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল বিশ্রাম নেবে না।
এখন পর্যন্ত হামাস 200 জনের বেশি ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়নি। এই যুদ্ধ গোটা বিশ্বকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। আমেরিকাসহ ইউরোপীয় দেশগুলো ইসরায়েলকে সমর্থন করলেও রাশিয়াসহ মুসলিম দেশগুলো ফিলিস্তিনের দিকে ঝুঁকছে।
Read More : North Korea : উত্তর কোরিয়ায় অপরাধীর সাথে তিন প্রজন্মের শাস্তি, জেনে নিন এর কারণ কী ?