গাজায় ইসরায়েলের চলমান বোমা হামলার মধ্যে রাশিয়ার কর্মকর্তারা মস্কোতে ইরানি ও হামাস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সংগঠনটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুসা আবু মারজুক মস্কো সফররত হামাসের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইরানের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি মস্কোতে তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
আলোচনায় ইরানের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের হামলা অবিলম্বে বন্ধ করার পাশাপাশি অবরোধ তুলে নেওয়া এবং সেখানে ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর ওপর জোর দেন। এদিকে, বৈঠকে রাশিয়া বলেছে যে রুশ কর্মকর্তারা হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তির বিষয়ে কথা বলেছেন।
ইরানের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি এবং হামাসের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার মস্কো পৌঁছেছেন। তিনি রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বাগদানভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে তিন দল একসঙ্গে বৈঠক করেছে কি না, সে বিষয়ে কেউ কিছু বলেননি।রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, আলোচনায় গাজায় সংঘাতের অবসানের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। এছাড়াও, গাজায় ফিলিস্তিনিদের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সপ্তাহের শুরুতে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, ইসরাইল যদি গাজায় স্থল হামলা চালায় তাহলে তা গোটা অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করবে। তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের প্রধান কাজ হবে রক্তপাত ও সহিংসতা বন্ধ করা।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকার শাসকগোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ওপর নজিরবিহীন হামলা চালায়। এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্বিচারে হামলা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান সংঘাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিক ব্যর্থতাকে দায়ী করছে রাশিয়া।
এদিকে হামাস নেতাদের মস্কোর আমন্ত্রণের নিন্দা জানিয়েছে ইসরাইল। তেল আবিব বলছে, হামাস নেতাদের মস্কো সফরে আমন্ত্রণ জানানো সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার সমতুল্য। এছাড়াও হামাস নেতাদের রাশিয়ার কাছে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার দাবি উঠেছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে (সংঘাতে) সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ প্রয়োজন। অবশ্যই, আমি ইসরায়েলের সঙ্গেও আলোচনা করব।” তবে ক্রেমলিনের কাছ থেকে কোনো যোগাযোগ হবে কিনা তা তিনি স্পষ্ট করেননি। ইরান ও হামাসের নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে কি না।