শুক্রবার গভীর রাতে নেপালে যে ভূমিকম্প হয়েছে তাতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। রিখটার স্কেলে ৬.৪ মাত্রায় পৃথিবী কেঁপে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। নেপালের সংবাদ সাইট কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অন্যদিকে ১১ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। নেপালের ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের কর্মকর্তাদের মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল জাজারকোট জেলার লামিডান্ডা এলাকায়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে নেপালে ভূমিকম্পের পর শনিবার ভোর ৫টায় সর্বশেষ আপডেট এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাজারকোটের একজন স্থানীয় কর্মকর্তা বলেছেন যে ভূমিকম্পের কারণে এখানে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, জাজারকোটের পার্শ্ববর্তী রুকুম পশ্চিম জেলায় প্রায় ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
নেপালের তিনটি সংস্থাই ত্রাণ কাজে নিয়োজিত
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল বলেছেন, দেশের তিনটি নিরাপত্তা সংস্থাই আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা শুরু করেছে। অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে যে অন্যান্য জেলা থেকেও মানুষ আহত এবং অনেক সম্পত্তির ক্ষতির খবর আসছে। এর মধ্যে রয়েছে ডাইলেখ, সালিয়ান ও রোলপা জেলা। জাজারকোটে আহতদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
3রা অক্টোবর নেপালেও ভূমিকম্প হয়েছিল
জাজারকোট কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। বলা হয়, হিমালয় দেশ নেপালে ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা। আমরা আপনাকে জানিয়ে রাখি যে গত মাসেও ৩ অক্টোবর নেপালে৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। এর পরে, নেপাল থেকে দিল্লি-এনসিআর এবং উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়।
दिल्ली से लेकर यूपी-बिहार तक महसूस किए गए भूकंप के झटके, नेपाल में था भूकंप का केंद्र. pic.twitter.com/QkxjCC1qX0
— Utkarsh Singh (@UtkarshSingh_) November 3, 2023
কেঁপে উঠল দিল্লি-এনসিআর-সহ গোটা উত্তর ভারত
আমরা আপনাকে বলি যে শুক্রবার রাত ১১.৩২ মিনিটে দিল্লি এনসিআর সহ উত্তর ভারতের অনেক রাজ্যে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। এ সময় লোকজন বাড়ি-ঘর ও অফিস ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, দিল্লি-এনসিআরে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.২। এ সময় জনগণের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করে।