উত্তরপ্রদেশের বাস্তি জেলায় স্বামীর মৃত্যুর খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে নিয়ে শ্মশানে পৌঁছেছেন স্ত্রী। আসলে ঘটনাটি বস্তি জেলার কোতোয়ালি এলাকার। যেখানে বৃহস্পতিবার এক যুবকের মৃত্যু হয়। শেষকৃত্যের জন্য যুবককে শ্মশানে নিয়ে যায় পরিবার। এদিকে কন্ট্রোল রুমে পুলিশ এক মহিলার ফোন পেল যে আমার স্বামী মারা গেছে, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও আমাকে স্বামীর শেষ দেখা করতে দিচ্ছে না। স্বামীর সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করতে বলেছেন ওই নারী। মহিলার কাছ থেকে খবর পেয়ে দুই ফাঁড়ির ইনচার্জ তাকে শ্মশানে নিয়ে যান। শ্মশানে পৌঁছে ওই মহিলা যুবকের চিতা থেকে কাঠ সরিয়ে, কাফন খুলে যুবকের সঙ্গে সেলফি তোলেন এবং ভিডিও করেন।
এক মাস আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ওই যুবক
জানা গেছে, নিহত যুবক তার পরিবারের সঙ্গে বস্তি জেলার কোতোয়ালি এলাকায় থাকতেন। নিহতের এক ভাই সরকারি দপ্তরে কেরানি হিসেবে কর্মরত। নিহত যুবক প্রায় এক মাস আগে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে পরিবার। আত্মহত্যার চেষ্টার সময় তার পায়ের শিরা চিমটি দিয়েছিল। যার ভিত্তিতে ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক ওই যুবককে বাড়িতে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়ে এক মাস বিশ্রামের পরামর্শ দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই যুবক ঘাড়ে ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শেষকৃত্যের জন্য পরিবার যুবককে কুয়ানো নদীর ধারে মুদঘাটে নিয়ে যায়।
মহিলাটি হঠাৎ শ্মশানে পৌঁছে যায়
মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা শ্মশানে শেষকৃত্যের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এরপর হঠাৎ এক মহিলা পুলিশ সদস্যসহ সেখানে এসে নিজেকে নিহত যুবকের স্ত্রী বলতে শুরু করেন। ওই নারী পুলিশকে জানান, দীর্ঘদিন আগে তার ও নিহত যুবকের প্রেমের বিয়ে হয়। দু’জনেই বাদেবনে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। মহিলা জানান, কয়েকদিন আগে তাঁর স্বামীও তাঁকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরিবার তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। যার জেরে বাড়িতে ঝগড়া হয়। যার জেরে এক মাস আগে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন ওই যুবক।