জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সপ্তম সহকারী অমিত দে সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অফিসে পৌঁছেছেন। শুক্রবারের পর শনিবারও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ইডি। অমিতের সঙ্গে জ্যোতপরির প্রাক্তন সহকারী অভিজিৎ দাসও পৌঁছেছেন ইডি অফিসে। তাঁর বাড়ি থেকে মেরুন ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে, যা ইডি-র তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
সল্টলেকে জ্যোতিপ্রীর বাড়িতে তল্লাশি ছাড়াও বৃহস্পতিবার নাগেরবাজারে অমিতের তিনটি ফ্ল্যাটেও অভিযান চালায় ইডি আধিকারিকরা। তিনটি ফ্ল্যাটই তখন বন্ধ ছিল। স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও সন্তানদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে পুরী গিয়েছিলেন অমিত। ফলে তিনটি ফ্ল্যাটের কোনওটিতেই ঢুকতে পারেননি কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। গেটের বাইরে পাহারা দিচ্ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইডিও অপেক্ষা করছিলেন। অবশেষে ভুবনেশ্বর থেকে বিমানে কলকাতায় ফিরে আসেন অমিত। অমিতের পরিবারকে বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে করে বাড়িতে নিয়ে আসে ইডি। ফ্ল্যাটের দরজা খুলে যায়। একটি নতুন অনুসন্ধান শুরু হয়.
জ্যোতিপরির সহকারী অমিতের নাগেরবাজারে দুটি অ্যাপার্টমেন্টে মোট তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর মধ্যে একটি অ্যাপার্টমেন্টের নাম ‘ভালবাসা’। অপরজনের নাম ‘পারুল’। দুটি অ্যাপার্টমেন্টের মধ্যে দূরত্ব 500-600 মিটার। তবে অমিত আর পারুলের ফ্ল্যাটে থাকে না। ‘ভালবাসা’ অ্যাপার্টমেন্টের দুটি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। প্রায় 18 ঘণ্টা ধরে সেখানে তল্লাশি চালায় ইডি। এরপর শুক্রবার ইডি অফিসে হাজির হন অমিত। রাতে সেখান থেকে বার। এর পর শনিবার তাঁকে ফের তলব করে ইডি। সকালে ইডি অফিসে পৌঁছান তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতপরির প্রাক্তন সহযোগী অভিজিতের হাওড়া বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। ইডি সূত্রে খবর, সেখান থেকে একটি মেরুন ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতে ইডির দাবি, ডায়েরিতে ‘বালুদা’ লেখা ছিল। জ্যোতিপ্রীর ডাক নাম বালু। ইডি দাবি করেছে যে ডায়েরিতে বিভিন্ন তারিখে অর্থ লেনদেনের বিবরণ রয়েছে। ইডি সূত্রের দাবি, ডায়েরিতে কার কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে এবং কাকে টাকা দেওয়া হয়েছে তাও উল্লেখ রয়েছে।