শুক্রবার মথুরার সিএমও অফিসে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ভর্তি একটি সিলিন্ডার ফাঁস হয়ে যায়। সিএমও অফিসের পাশে অবস্থিত এএনএম ট্রেনিং সেন্টারের 12 ছাত্রী এতে আক্রান্ত হয়েছে। তার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। ঘাবড়ে যাওয়া এবং বমি করতে শুরু করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মেয়েরা নড়বড়ে হয়ে রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ওই ছাত্রী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জেলা প্রশাসনে। সিএমও অফিসের কর্মচারীদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় ফায়ার ব্রিগেড ও ইন্ডিয়ান অয়েল রিফাইনারির দলকে। ফায়ার ব্রিগেড ও শোধনাগারের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্টোর রুম থেকে সিলিন্ডারটি বের করে খোলা অবস্থায় রাখে। লিকেজ বন্ধের চেষ্টা চলছে।
সিএমও অফিসের স্টোর রুমে সিলিন্ডার রাখা ছিল
সিভিল লাইনস এলাকায় চিফ মেডিকেল অফিসারের অফিসের পিছনে একটি স্টোর রুম রয়েছে। যেখানে পাম্পিং স্টেশন ও আবর্জনা রাখা হয়। এই আবর্জনাটিতে অ্যামোনিয়াম ক্লোরিন ভর্তি দুটি বড় সিলিন্ডার রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে একটি ফুটো হয়ে গ্যাস বের হতে থাকে। গ্যাস লিকেজের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অফিসে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রকাশ্যে আসেন।
সিলিন্ডার 162 কেজি
আবর্জনার মধ্যে রাখা অ্যামোনিয়াম ক্লোরিন গ্যাসের একটি সিলিন্ডারের ওজন 162 কেজি বলে জানা গেছে। এর মধ্যে 100 কেজির একটি সিলিন্ডার রয়েছে এবং এটি 62 কেজি গ্যাসে ভরা ছিল। বলা হচ্ছে, এই সিলিন্ডারটি ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে এভাবে রাখা ছিল। যেগুলো ব্যবহার করা হয়নি।
ওয়াটার প্লান্টে সিলিন্ডার বসানো হয়েছে
সিএমও অজয় ভার্মা জানিয়েছেন, অফিসে একটি ওয়াটার প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। প্রায় আট বছর ধরে কারখানাটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর পর তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, কোনও কর্মীই এতে বসানো সিলিন্ডারের দিকে নজর দেননি। গত দুই দিন ধরে গ্যাস লিকেজের কারণে দুর্গন্ধ আসছিল।