ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে, হামাসের সিনিয়র নেতা আলী বারাক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যে একদিন আমেরিকাও সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ইউএসএসআরের মতো ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, একদিন যুক্তরাষ্ট্র অতীত হয়ে যাবে। লেবাননের একটি নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
আলী বারাক বলেন- আমেরিকা ব্রিটেন এবং যারা সমাজের উন্নতির জন্য কাজ করেছিল তাদের দ্বারা বসতি স্থাপন করা হয়েছিল। এখন আমেরিকার সব শত্রু একত্রিত হয়ে আলোচনা করছে। সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন সবাই একসাথে যুদ্ধে যোগ দেবে এবং আমেরিকা ইতিহাসে অন্তর্ভুক্ত হবে। আমেরিকা চিরকাল শক্তিশালী হবে না।
আলী বারাক আরও বলেন- উত্তর কোরিয়ার নেতাই বিশ্বের একমাত্র নেতা যার আমেরিকাকে আক্রমণ করার ক্ষমতা রয়েছে। আমরা আশা করি উত্তর কোরিয়া এ ব্যাপারে দ্রুত হস্তক্ষেপ করবে। সর্বোপরি তিনি আমাদের জোটের অংশ।
হামাস বলেছে- রাশিয়া ও চীনও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে
হামাস নেতা বলেন, সম্প্রতি তার একটি প্রতিনিধিদল মস্কোতে গিয়েছিল এবং এখন তা শিগগিরই বেইজিংয়েও যাবে। আলী বারাক বলেন- রাশিয়া এখন প্রতিদিন আমাদের সাথে যোগাযোগ করে। চীন তার কর্মকর্তাদের দোহাতেও পাঠিয়েছে যেখানে রাশিয়া-চীন হামাস নেতার সাথে দেখা করেছে।
বারাক আরও বলেন, আমেরিকায় হামলা করার ক্ষমতা ইরানের নেই। এমনকি ইরান যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিলেও তা কেবল ইহুদিদের দেশ এবং সেখানে আমেরিকান ঘাঁটি লক্ষ্য করতে পারে। আমরা সত্য বলছি। ইরানের কাছে আমেরিকা পৌঁছানোর মতো অস্ত্র নেই, তবে আমেরিকা হস্তক্ষেপ বাড়ালে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে তাদের জাহাজকে টার্গেট করতে পারে।
বারাক ইরান-হিজবুল্লাহর সাথে সম্পর্কের জন্য দায়ী
হামাস নেতা আলী বারাক লেবাননের বৈরুতে অবস্থিত হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। যারা অন্যান্য দেশের সাথে সংস্থার সম্পর্কের জন্য দায়ী। হিজবুল্লাহ ও ইরানের সাথে সংগঠনের সম্পর্ক বজায় রাখার দায়িত্বও বারাকের। তিনি এর আগে লেবাননে হামাসের প্রতিনিধিও ছিলেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ এখনো অব্যাহত রয়েছে
গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ এখনো চলছে।৭ই অক্টোবর সকাল ৬টার দিকে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। প্রায় আড়াই হাজার হামাস যোদ্ধা সীমান্তের বেড়া ভেঙ্গে ইসরায়েলে প্রবেশ করে এবং বেসামরিকদের উপর গুলি চালাতে থাকে। এ সময় হামাস গাজায় অনেক ইসরায়েলিকে জিম্মি করেছিল।
হামাসও সেদিন ইসরায়েলে ৫ হাজার রকেট ছোড়ার দাবি করেছিল। হামলার পরপরই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পাল্টা হামলা শুরু করে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের এক মাস হয়ে গেছে। এতে এখন পর্যন্ত ১,৪০০ ইসরায়েলি এবং ৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছে।