লখনউতে একটি বড় ঘটনা ঘটেছে। এখানে দেরিতে দরজা খুললে বস্ত্র ব্যবসায়ী স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তে নামে। ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে তালা দিয়ে জানালা থেকে লাফ দেন। এ সময় তার মাথায় আঘাত লাগে। তাকেও কেজিএমইউর ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী আদিত্য কাপুরের পরিবার মহানগরের পেপার মিল কলোনিতে আলায় অ্যাপার্টমেন্টে থাকে। শনিবার রাত সাড়ে 12 টার দিকে আদিত্য কাপুর তার বাড়িতে পৌঁছে দরজা খুলতে বেল বাজিয়ে দেন। অনেকক্ষণ দরজা খুলল না। এতে আদিত্য ক্ষুব্ধ হয়। স্ত্রী দরজা খুললে স্ত্রীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুজনের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
খাবার টেবিলের কাছে পড়ে আছে রক্তে ভেজা স্ত্রী
এরপর বাচ্চাদের সামনে রান্নাঘরে রাখা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আক্রমণ করেন আদিত্য। রক্তে ভিজে খাবার টেবিলের কাছে পড়ে রইল স্ত্রী শিবানী। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর দোতলা থেকে ঝাঁপ দেন স্বামী।
বলা হচ্ছে, গত 6 মাস আগে মহানগরের পেপার মিল কলোনি এলাকার আলায় অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে এসেছিলেন আদিত্য কাপুর। আদিত্য কাপুরের বয়স 43 বছর বলে জানা গেছে। হজরতগঞ্জ এলাকায় তার একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে।
চাচা বললেন- সাড়ে 9টায় দোকান থেকে বের হয়েছি
জাপান স্টোরের মালিক ও আদিত্যের মামা পাপ্পু বলেন, “আমি রাত সাড়ে 9 টার দিকে দোকান থেকে বের হয়েছিলাম। আমি মদ্যপানে দরজায় ধাক্কা দিলে তারা তা খোলেনি। এ কারণে একটি বাচ্চাদের সামনে ঝগড়া শুরু হয় এবং হঠাৎ আদিত্য শিবানীকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে।” সে এটি করেছিল। এর পরে সে জানালা থেকে লাফ দেয়। এই সময় আদিত্যের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে এবং তাকে ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।”
লক্ষ্ণৌর ডিসিপি সেন্ট্রাল অপর্ণা রজত কৌশিক বলেছেন, “খুনের অভিযুক্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তিনি আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।