ব্যারাকপুরের একটি সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় পুলিশের উপর সাংসদ অর্জুন সিংয়ের লাগাতার আক্রমণে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় প্রাথমিকভাবে ভাল যাননি। এমনকি দলের বিধায়ক মদন মিত্র অর্জুনকে ‘সমর্থন’ করার জন্য তাকে আক্রমণ করেছেন। কিন্তু দমদমের সাংসদ সৌগত কার্যত মদনের বিধানসভা আসন কামারহাটিতে একটি সভায় অর্জুনের বক্তব্যকে সমর্থন করেছিলেন। এখন তাঁর বক্তব্য, “ব্যারাকপুর শিল্প এলাকার আইনি পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে। তিন বছর আগে খুন হন মনীশ শুক্লা। বুধবার ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে সৌগত আরও বলেন, ‘সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আমি মনে করি পুলিশ ভালো কাজ করার চেষ্টা করছে। কিছু পুলিশ অফিসার আছে যারা ঘুষ খায় কাজ করে না। তবে সবাই খারাপ নয়। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে এই ধরনের দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মী বা অফিসারদের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতে যাবেন।
ব্যারাকের ঘটনায় পুলিশকে দায়ী করছেন অর্জুন। ব্যারাকপুর শিল্প এলাকায় বারবার অপরাধের জন্য পুলিশের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেন তিনি। বিজেপির টিকিটে সাংসদ হয়ে তৃণমূলে ফেরার বিষয়ে অর্জুনের মন্তব্য শাসক দলে তোলপাড় শুরু করেছে। অর্জুনের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও জল্পনা চলছে। মদন অবশ্য অর্জুনের পাশে। তিনি বলেন, “অর্জুন এমপি, বিধায়ক ছিলেন, তাঁর কথা গুরুত্বপূর্ণ। আগে বিজেপি ছিল। এখন সবই আমাদের দলের। অর্জুনও আমাদের দলের।” তাঁর কথায়, “কয়েকদিন আগে অর্জুন-মদনের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। এখন আবার মদন তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই।” তার বিরুদ্ধে মদনকে মাঠে নামিয়েছে তৃণমূল। আর অর্জুন একে অপরকে আক্রমণ করে মন্তব্য করতেন।কিন্তু এবার সৌগতও নাচলেন অর্জুন-মদনের সুরে। ব্যারাকপুরের ঘটনায় তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি যদি কাউকে না মারি, তাহলে সে আমাকে মারবে কেন?’ আমি শান্ত থাকলে কোন গুন্ডা আমার কিছু করতে পারবে না। পুলিশ যদি কোন অন্যায় করে থাকে তাহলে বলবেন। থানা আইসি কাজ না করলে আমাকে জানান। আমি কমিশনারকে বলব। এবং যদি কমিশন কাজ না করে আমাকে জানান। মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি, আমি কারও কাছে অভিযোগ করতে পারি।”