আজ শনিবার এগরা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে শুক্রবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করেছিলেন যে এগরায় বেআইনি বাজি কারখানা বিস্ফোরণের তদন্ত কতদূর? অবৈধ বর্জ্য সংগ্রহের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? একই সঙ্গে জেলার গোয়েন্দা বিভাগকে আরও সজাগ হয়ে অবৈধ বাজির তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা মুখ্য সচিবকে জানান পুলিশ সুপার।
এ দিন, বিভিন্ন জেলার প্রশাসনের সাথে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেছেন যে বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চালানোর পাশাপাশি, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদানকারী সাধারণ মানুষকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের পরিবেশ দফতর এই পুরস্কার দেবে। বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে অভিযানে পরিবেশ দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করতেও পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
তিনি বলেছিলেন যে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই NIRI-তে প্রশিক্ষণের জন্য নিযুক্ত কারখানা থেকে 150 জনকে চিহ্নিত করেছে। জুন মাসে দুই ধাপে প্রশিক্ষণ শুরু হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য তামিলনাড়ুর ‘শিবাকাশী’ রাজ্য থেকে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাবও বিবেচনা করছে সরকার।
রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প বিভাগ বিষয়টি দেখবে। প্রতিনিধি দলে বুকমেকার অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিনিধিও থাকবেন। রাজ্যের লক্ষ্য বেটিং শিল্পের পরিকাঠামোকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করা। যাতে এ শিল্পে কর্মসংস্থানের উপায়ের পাশাপাশি নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়। বেসরকারি বিনিয়োগেরও সুযোগ রয়েছে।
মুখ্যসচিব বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কাছে বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার রিপোর্ট চেয়েছেন।সম্প্রতি আগ্রা ছাড়াও দক্ষিণ 24 পরগনা, মালদা এবং বীরভূমে বাজির গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাঁর মতে, জেলায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার বাইরে সরকারি জমি চিহ্নিত করতে হবে, যেখানে বাজি ধরা যায়। ক্লাস্টারে শুধুমাত্র সবুজ বাজি কারখানার লাইসেন্স দেওয়া হবে।
এতে অবৈধ বাজি ধরা বন্ধ হবে। মজুদের জন্য গোডাউনও এলাকার বাইরে রাখতে হবে। নিয়মিত মনিটরিংও করতে হবে। সরকারও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করছে। প্রসঙ্গত, NIRI-এর পরামর্শে রাজ্য সরকার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরীক্ষাগারকে সজ্জিত করার কাজ শুরু করেছে।