প্রভাত বাংলা

site logo
Breaking News
||Samrat Chaudhary : রাহুল গান্ধীকে সন্ত্রাসী ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছেন বিহার বিজেপির সভাপতি সম্রাট চৌধুরী||Kapil Sibal : গিরিরাজের বক্তব্যকে নিশানা করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিবাল||Panchayat Election 2023 : ডোমকলে মনোনয়ন জমা নিয়ে বাম-তৃণমূলের কোন্দল, লাভপুরেও ঝামেলা||Job Scam : মঙ্গলবার অভিষেক হাজির না হলে কী পদক্ষেপ নেবে ইডি?||Ludhiana : লুধিয়ানায় মধ্যরাতে 7 কোটি টাকা লুট||Wrestlers Protest : সোনিপতে খাপ পঞ্চায়েত.. পৌঁছেছেন বজরং-সাক্ষী: বললেন- অমিত শাহ ও অনুরাগ ঠাকুরের বৈঠকের কথা জানাবেন||Manipur : মণিপুরে পৌঁছেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, দুই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে চলমান সহিংসতা নিয়ে আলোচনা করেছেন||Pink Hillier Lake : এই হ্রদের রং বদলায়, দিনে গোলাপি আর রাতে অন্য রঙ দেখা দেয়||ATS : পারবন্দর থেকে 4 জনকে গ্রেপ্তার করেছে গুজরাট ATS, বিদেশী নাগরিক সহ; সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএসের সঙ্গে যুক্ত||Amazon Forest Rescue: বিমান দুর্ঘটনার ৪০ দিন পর আমাজনের জঙ্গল থেকে উদ্ধার ৪ শিশু

অযোধ্যার সানবিম স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রী খুন

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
অযোধ্যা

অযোধ্যায় সানবিম স্কুলের বিল্ডিং থেকে পড়ে মৃত্যু হল দশম শ্রেণির এক ছাত্রের। এর ভিডিওও সামনে এসেছে। এতে ওই ছাত্রীকে স্কুলের ছাদ থেকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তিনি প্রায় 9 মিনিট ধরে যন্ত্রণায় মাটিতে শুয়ে থাকলেন, কিন্তু কেউ কোনও ক্লুও পাননি।

এবার নিষ্ঠুরতার বিষয়টি সামনে এসেছে। বাবার অভিযোগ, স্কুল ম্যানেজার ও গেমের শিক্ষক তাকে গণধর্ষণ করেছে। তারপর ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলে। বাবার তাহরিরের বিরুদ্ধে ক্যান্ট থানায় গণধর্ষণ, খুন, পকসো আইন সহ অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেয়েটির বয়স ছিল 15 বছর। লাশের পোস্টমর্টেম চলছে।

হত্যা, গণধর্ষণ ও পক্সো আইনে মামলা
বাবা তাহরিরে স্কুল ম্যানেজার ব্রিজেশ যাদব এবং অভিষেক কানৌজিয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। অধ্যক্ষ রশ্মি ভাটিয়ার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। তাহরিরের ভিত্তিতে, পুলিশ ক্যান্ট থানায় গণধর্ষণ, প্রমাণ ধ্বংস, পকসো আইন, হত্যার মামলা দায়ের করেছে। IPC ধারা 376D, 302, 120B, 201 এর অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। গেমের শিক্ষক অভিষেক কানৌজিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।

বাবা বললেন- প্রিন্সিপাল মেয়েকে ডেকেছেন
বাবা বলেন, “মেয়ে থানা ক্যান্ট এলাকার সানবিম স্কুলে পড়ত। শুক্রবার আমি কাজে বাইরে গিয়েছিলাম। স্ত্রী তার মামার বাড়িতে গিয়েছিল। ছুটির দিন হওয়ায় মেয়ে বাড়িতেই ছিল। সকাল সাড়ে ৮টায় প্রিন্সিপাল রশ্মি ভাটিয়া মেয়েকে ফোন করেন। এরপর সাড়ে ৯টায় স্কুল থেকে ফোন পাই আপনার মেয়ে দোলনা থেকে পড়ে গেছে। সে আহত হয়েছে।”

বাবা বলেন, “স্কুলের লোকজন মেয়েকে নারায়ণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমিও সরাসরি সেখানে পৌঁছালে দেখি মেয়ের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, দোলনা থেকে পড়ে সে মারা গেছে। সিসিটিভিতে তাকে দেখা যায় বারান্দা থেকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।কন্যা যেখানে পড়েছিল সেখান থেকে রক্তের দাগও মুছে গেছে।

মাথায় আঘাত, পাও ভেঙে গেছে
প্রতিবেশী বলেন, “বাবার ডাকে আমার সঙ্গে এলাকার কিছু মানুষ রাজরাজেশ্বরী হাসপাতালে পৌঁছায়। শিশুটির অবস্থা খারাপ ছিল। ছাদ থেকে পড়ে মেয়েটির পা ভেঙে যায়। তার মাথায়ও আঘাত ছিল। তার হুশ ছিল না।

প্রতিবেশী বলেন, “হাসপাতালে পৌঁছানোর পর স্কুল ম্যানেজমেন্ট জানায় যে মেয়েটিকে প্রথমে নারায়ণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর চিরঞ্জীবী হাসপাতালে। এরপর তাকে রাজরাজেশ্বরী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল ৫টা নাগাদ চিকিৎসা চলাকালীন মেয়েটির মৃত্যু হয়।” “‘

প্রতিবেশী বলেন, “কী হয়েছে তা জানা যায়নি। স্কুলের লোকজন বলছে, দোলের কাছে পড়ে থাকতে দেখা গেছে মেয়েটিকে। দোলের কাছে এমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। মেয়েটির মোবাইলও পাওয়া যাচ্ছে না। এটি তদন্তের বিষয়। আমাদের মেয়ে শিশুর বিচার হওয়া উচিত।

বিষয়টি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত স্কুল ব্যবস্থাপনা- বাবা
মেয়েটির বাবা বলেন, “দুল থেকে পড়ে এতটা আঘাত হতে পারে না। তার পুরো মুখে গভীর চোট রয়েছে। নিতম্বেও গুরুতর চোট রয়েছে। ম্যানেজমেন্ট বলছে সে দোল থেকে পড়ে গেছে।” যদিও সিসিটিভিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যে স্থানে সে পড়েছিল, সেখান থেকে রক্তের চিহ্ন মুছে গেছে।”

বাবা বলেন, “ঘটনার পর থেকে স্কুল প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দিচ্ছে। স্কুল ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজ করতে ব্যস্ত। আমাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তার সঙ্গে কিছু ভুল হয়েছে। স্কুলে গেম টিচার হিসেবে পোস্ট করার চেষ্টা চলছে। শিক্ষকদের বাঁচাতে।”

প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে-এসপি সিটি 
এসপি সিটি মধুসূদন সিং জানান, পুরো বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসও ক্যান্ট বলেছেন যে মামলায় পরিবারের তাহরিরের বিরুদ্ধে হত্যা, গণধর্ষণ, পকসো আইন সহ অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ ধরা পড়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তে যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর