রাজ্যে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার জেলের মেয়াদ আট বছর বাড়ানো হয়েছে। ধৃতদের আগামী 1 জুন পর্যন্ত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের বরণ্য থেকে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হওয়া এজেন্ট শহিদ ইমাম, আলী ইমাম, কৌশিক রায়কে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত বৃহস্পতিবার আদালত। শান্তিপ্রসাদকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছিল। এছাড়াও গ্রুপ ডি মামলায় ‘মধ্যস্থ’ প্রদীপ সিং, প্রসন্ন রায়কেও আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তাদের সকলের কারাদণ্ডের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে প্রেসিডেন্সি কারেকশনাল ফ্যাসিলিটিতে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশ, শহিদ ও আলী। তবে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। বাকিরা জামিনের আবেদন করেননি।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গত বছরের 23 জুলাই শিক্ষা নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই একের পর এক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয়েছে পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থের ‘বিখ্যাত’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। গ্রেফতার করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও। পরে হুগলির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু ব্যানার্জি, হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলকে গ্রেফতার করা হয়।