সালমান খানকে হুমকিমূলক ইমেলটি গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার ছাড়া অন্য কেউ পাঠিয়েছিলেন। বুধবার মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে যে তারা হুমকির মামলার তদন্ত করতে ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়েছে। গোল্ডি ব্রার সেই একই কুখ্যাত অপরাধী যার নাম প্রথমে উঠেছিল পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যায়।
যুক্তরাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে মুম্বাই পুলিশ
মুম্বাই পুলিশের মতে, গোল্ডি যুক্তরাজ্যে লুকিয়ে আছে বলে তার সন্দেহ। মুম্বাই পুলিশ আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে। নিশ্চিত হলে গোল্ডিকে ভারতে আনার চেষ্টা করবে পুলিশ। অনুগ্রহ করে বলুন যে 19 মার্চ সালমান খানের ম্যানেজার জর্ডি প্যাটেল একটি হুমকিমূলক ইমেল পেয়েছিলেন।
ওই মেইলে লেখা ছিল, ‘গোল্ডি ব্রারকে তোমার বস সালমানের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সালমান নিশ্চয়ই লরেন্স বিষ্ণয়ের সাক্ষাৎকার দেখেছেন। যদি না দেখে থাকেন তাহলে তাকে সাক্ষাৎকারটি দেখতে বলুন। আপনি যদি বিষয়টি বন্ধ করতে চান তবে বিষয়টি সম্পন্ন করুন। আপনি যদি সামনাসামনি কথা বলতে চান, তাহলে সেটাও বলুন। আপনাকে ঠিক সময়ে জানানো হয়েছে। পরের বার শুধু ঝাটকা দেখা যাবে।
পুলিশ একাধিক ধারায় মামলা করেছে
কয়েকদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে সালমান খানকে হুমকি দিয়েছিলেন জেলে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। এই সাক্ষাৎকারের পরদিন সালমানের ম্যানেজার হুমকিমূলক ইমেইল পান। সালমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রশান্ত গুঞ্জালকারও বান্দ্রা থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এই ঘটনায় লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার এবং রোহিত গর্গের বিরুদ্ধে আইপিসির ৫০৬ (২), ১২০ (বি) এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
সালমানকে ঘটনা এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়
হুমকি পাওয়ার পর থেকেই সালমানের বাড়ির বাইরে পুরো পুলিশ বাহিনী দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন সালমানের পরিবার। খবরে বলা হয়েছে, সালমান ও তার দলকে আগামী কয়েকদিন অন-গ্রাউন্ড ইভেন্ট এড়াতে বলা হয়েছে।
সালমানের জীবনের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসনও তার সময়সূচি পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে। এপ্রিলে মুক্তি পেতে চলেছে সালমানের ছবি কিসি কা ভাই কিসি কি জান। এর প্রচারের ক্ষেত্রেও নতুন পরিকল্পনা করতে হবে।
লরেন্সের সাক্ষাৎকারের পর মেইলটি আসে
15 মার্চ এবিপি নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে, গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্বোই সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। লরেন্স বলেছিলেন, সালমানের বিরুদ্ধে তার উদ্দেশ্য ঠিক ছিল না। যেদিন অভিনেতার নিরাপত্তা সরানো হবে, সেদিনই হবে সালমানের জীবনের শেষ দিন।
লরেন্স বলেন, ‘রাবণের চেয়ে সালমান খানের অহংকার বেশি, সিধু মুসেওয়ালাও সমান অহংকারী ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই আমার একটাই লক্ষ্য আর তা হলো সালমান খানকে মেরে ফেলা। গ্যাংস্টার বলে, আমার বয়স যখন চার-পাঁচ বছর তখন সালমান কৃষ্ণসার মেরেছিল। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের লোকেরা কালো হরিণের পূজা করে। সালমান তার অপরাধের জন্য আমাদের সমাজের কাছে ক্ষমাও চাননি। ছোটবেলা থেকেই ওর প্রতি আমার রাগ।
লরেন্স আরও বলেন, সালমান আমাদের সমাজকে হতাশ করেছে। আমরা তার ইগো ভেঙ্গে দেব। তিনি যদি বাঁচতে চান, তাহলে আমাদের সমাজের সামনে এসে ক্ষমা চান। এর জন্য তাকে রাজস্থানের বিষ্ণোই সমাজের মন্দির ‘জম্বেশ্বর জি’-তে আসতে হবে। সমাজের মানুষ তাকে ক্ষমা করে দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই।
হুমকির পরে Y+ নিরাপত্তা, 11 জন জওয়ান ছায়ার মতো একসঙ্গে থাকেন
আগে, মহারাষ্ট্র পুলিশ কর্মীরা সালমানের সাথে থাকতেন, কিন্তু হুমকি পাওয়ার পরে, তাকে ওয়াই + ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এই নিরাপত্তা বৃত্তে, 11 জন জওয়ান সর্বদা সালমানের সাথে থাকে, এতে এক বা দুটি কমান্ডো এবং 2 জন পিএসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সালমানের গাড়ির সামনে ও পেছনে দুটি গাড়ি সবসময়ই থাকে। পাশাপাশি সালমানের গাড়িটিও সম্পূর্ণ বুলেটপ্রুফ।