Padma bridge : রোববার সকালে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বাসটি মহাসড়কের রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এখন পর্যন্ত 17 জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা 30 জনের বেশি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ভোরে বাসটি খুলনা ছেড়ে যায়। গন্তব্য রাজধানী ঢাকা। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় সকাল সাড়ে 7 টার দিকে ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসের স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পদ্মা সেতুর আগে মহাসড়কের রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটি উল্টে যায়।
বাসে কতজন যাত্রী ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখন পর্যন্ত 17 জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত 30 জনেরও বেশি যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকর্মী ও চিকিৎসকরা।
কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে বাসের চালক অতিরিক্ত গতিতে ছিলেন। হঠাৎ মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শিপলু আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দ্রুতগতির কারণে বাসটির টায়ার ফেটে যায়। এরপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে উদ্ধার কাজে অংশ নেন কুতুবপুর এলাকার হায়দার আলী। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়েতে কমবেশি দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে কোনো বাস মহাসড়কের রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এক্সপ্রেসওয়েতে এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।