আজকের জীবন মন্ত্র: নারায়ণ দেবাচার্য নামে এক সাধক ছিলেন। সবাই তাকে খুব সম্মান করত। দেবাচার্য জি তার গুরু ভান্তে অনেক বিশ্বাস করতেন। তিনি তাঁর প্রতিটি বক্তৃতায় মানুষকে বোঝাতেন, ‘জীবনে গুরু থাকা খুবই জরুরি। একজন মানুষ যদি তার গুরুর কথা জীবনে গ্রহণ করে তবে তার মন কখনো বিচলিত হয় না। যে গুরু মন্ত্রে বিশ্বাস করে সে নির্ভীক থাকে।’
একদিন দেবাচার্য এক জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। হঠাৎ বনের লোকেরা দেখল সামনে থেকে একটা সিংহ আসছে, সবাই এদিক ওদিক দৌড়াতে শুরু করল। লোকেরা দেবাচার্যকে বলল, ‘গুরুদেব, তুমিও পালিয়ে যাও।’ কিন্তু তারা দৌড়ায়নি।
দেবাচার্য বললেন, ‘আমাদের গুরু বলেছেন, যার হাতে ভগবানের হাত আছে, তার ভয় করা উচিত নয়।’
সাধু দেখলেন সিংহ খোঁড়া হয়ে হাঁটছে। সিংহের পায়ে তীর ছিল। সাধু সাধুর ইতিবাচক শক্তির কাছাকাছি আসতেই সিংহও সেখানেই থেমে গেল। সাধক দেবাচার্য সিংহের মাথায় হাত রেখে পা থেকে তীর নিক্ষেপ করে একটি গাছে লাগালেন। এর পর সিংহটি সেখান থেকে চলে যায়। সবাই দূর থেকে এই দৃশ্য দেখছিল।
সাধক দেবাচার্য সেখান থেকে এগিয়ে গেলে কিছু শিকারী দেখতে পান। শিকারিরা সাধুকে জিজ্ঞেস করল, ‘এখানে কোন আহত সিংহ দেখেছেন?’
দেবাচার্য বললেন, ‘হ্যাঁ, সিংহ দেখেছি, চলে গেছে এবং তীর সেই গাছে লেগেছে।’
শিকারীরা তীরটি দেখে অবাক হয়ে গেল, কারণ এই তীরটি সিংহের পায়ে লেগেছিল। শিকারীরা গোটা ঘটনা জানতে পেরে দেবাচার্যকে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কীভাবে এ কাজ করলে?’
দেবাচার্য বলেন, ‘যখন আমরা সম্পূর্ণরূপে ভগবানকে বিশ্বাস করি এবং গুরু মন্ত্রের প্রভাবে থাকি, তখন আমাদের শরীর থেকে ইতিবাচক শক্তি বেরিয়ে আসে। এত ভালবাসা আমাদের চুলে ও চুলে স্থির হয়ে যায় যে হিংস্র প্রাণীও কাছে আসে, ভালবাসা সম্পূর্ণ হয়ে যায়।
Read More :
পাঠ
আমাদের জীবন শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়া উচিত এবং আমাদের প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা উচিত। এটি করলে আমাদের প্রকৃতি ইতিবাচক, শান্ত এবং প্রেমময় হবে। যে কেউ আমাদের কাছাকাছি আসবে সেও প্রেমময় এবং শান্ত হয়ে উঠবে।