অন্য ধর্মের মেয়েকে বিয়ে করায় হায়দরাবাদে নাগারাজুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বিষয়টি এখনও মীমাংসা হয়নি তখন গুজরাটের রাজকোটে একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে 22 বছর বয়সী এক যুবকের প্রেমকাহিনীও নির্মম হত্যার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছিল। সুমাইয়ার ভাই ও পরিবারের সদস্যরা মিঠুন ঠাকুরকে পিটিয়ে হত্যা করে। সুমাইয়া তার প্রেমিকাকে বাঁচাতে না পেরে তার হাতের রগ কেটে দেয়। তবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার জীবন রক্ষা পায়।
স্থানীয় একটি কারখানায় কর্মরত বিহারের বাসিন্দা মিঠুন ঠাকুর এবং 18 বছর বয়সী তরুণী সুমাইয়া কাদিওয়ারের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে সম্পর্ক ছিল। তিনি জঙ্গলেশ্বর মেইন রোডে অবস্থিত রাধাকৃষ্ণ সোসাইটিতে একই এলাকায় থাকতেন। এ সময় দুজনেই একে অপরের সংস্পর্শে আসেন। তাদের প্রেম প্রস্ফুটিত হয় এবং তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ঘরে ঢুকে মারধর করে
সোমবার সকাল 10 টার দিকে মিঠুন ঠাকুর তার মোবাইল ফোনে সুমাইয়াকে কল করলেও তার ভাই সাকির ফোনে সাড়া দেন। তিনি ঠাকুরকে ভয়ানক পরিণতির হুমকি দেন এবং উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত তর্ক শুরু হয়। সাকির তাকে সুমাইয়া থেকে দূরে থাকার হুমকি দিচ্ছিল।
অচেতন দেখে প্রতিবেশীরা হাসপাতালে ছুটে যান
সাকিরসহ অজ্ঞাতপরিচয় তিনজন মিঠুনের বাড়িতে গিয়ে তাকে নির্মমভাবে মারধর করে। প্রতিবেশীদের মধ্যে একজন তাকে বাড়িতে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে রাজকোট সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখান থেকে তাকে গুরুতর জখম এবং ব্রেন হেমারেজ নিয়ে আহমেদাবাদে রেফার করা হয়। বুধবার আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে আহত ঠাকুরের মৃত্যু হয়।বুধবার সুমাইয়া তার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে কব্জি কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বুধবার সুমাইয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
Read More :
গ্রেফতার সাকির
সুমাইয়ার বাবা-মা তালাকপ্রাপ্ত এবং তার মাও একটি বেসরকারি কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। মিঠুন ঠাকুর এবং তার বাবা বিপিন রাজকোটে থাকতেন এবং একটি কারখানায় কাজ করতেন। ভক্তিনগর থানার পরিদর্শক এলএল চাভদা বলেন, “আমরা নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে সাকির ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছি।”