বারাণসী : রাজ্যের যোগী সরকার যেখানে পুলিশ এবং জনসাধারণের মধ্যে আরও ভাল সমন্বয় তৈরির জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে, বারাণসী পুলিশ কর্মীদের মুখ্যমন্ত্রী যোগীর এই প্রচেষ্টাকে নাশকতা করতে দেখা যাচ্ছে।
প্রথমে পুলিশকে মারধরের পর টাকা চায়
প্রকৃতপক্ষে, এক যুবক পুলিশের গাড়ির সাথে ধাক্কা মারে, পরে যুবককে মারধর করে পুলিশ কর্মীরা। শুধু তাই নয়, ভুক্তভোগী যুবকের অভিযোগ, পুলিশ তাকে কিছু না বলে শুধু মারধরই করেনি, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তার কাছে টাকাও দাবি করে। পুরো ঘটনাটি চেতগঞ্জ থানা এলাকার তেলিয়াবাগে অবস্থিত সম্পূর্ণানন্দ বিদ্যালয়ের কাছে।
থাপ্পড় মারা পুলিশ যুবককে বেধড়ক মারধর করে
ভুক্তভোগী যুবক জানান, তিনি তার গাড়িতে তেলিয়াবাগের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন সামনে থেকে আসা একটি গাড়ি ওভারটেক করে সংঘর্ষ হয়। একজন পুলিশ গাড়ি থেকে নেমে গালিগালাজ করতে করতে কলার টেনে বললেন, তাকে দেখা যাচ্ছে না। গাড়ির ভেতরে লোকজন বসে আছে। বড় বড় পুলিশ অফিসার, হাত-পা ছুঁয়ে মাফ চাই, কিছু টাকা দিলে মাফ করে দেবেন। তখন যুবক বলেন, এটা আমার দোষ নয়, আমি কেন টাকা দিয়ে ক্ষমা চাইব। এ নিয়ে ওই যুবককে একের পর এক চড় মারেন পুলিশকর্মী।
ফোন করার চেষ্টা করে, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়
অন্য পথচারীরা এটা দেখে পুলিশ সদস্য সবাইকে দেখে চলে যাওয়াই সঙ্গত মনে করল। যুবকটি মোবাইল থেকে কাউকে কল করার চেষ্টা করলে গাড়ি চালাচ্ছিল পুলিশ চালক রমেশ যাদব মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয় এবং পেছন থেকে পুলিশ সদস্য আবারও যুবককে বেশ কয়েকবার চড় মারেন। বর্তমানে ওই যুবক চেতগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এই লজ্জাজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেতগঞ্জ থানায় ধর্নায় বসেন ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার আধিকারিকরা।
Read more :
অফিসার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন
এই পুরো পর্বে চেতগঞ্জের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জানান, গাড়িটি বাইরের এবং এতে বসা জওয়ানরা জেলের পুলিশ সদস্য। অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংক্ষুব্ধ পক্ষকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।