একবার রাস্তাটি লেনিনকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। এবার লেনিন স্ট্রিটের নাম পরিবর্তন করে লতা মঙ্গেশকর স্ট্রিট করা হচ্ছে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্গাপুর পুরসভা। তৃণমূল নেতৃত্বাধীন পুরসভার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভের সুর বামে। ইতিহাস বলে সোভিয়েত ইউনিয়ন তখনও অক্ষত ছিল। সে সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে বাংলার অন্যান্য স্থানের মতো দুর্গাপুরের নামকরণ করা হয়েছিল রুশ বিপ্লবের মহানায়ক লেনিনের নামে। দুর্গাপুরের জওহরলাল নেহরু সরণি এবং বিধান রায় সরণির সাথে সংযোগকারী আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটির নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলের নেতৃত্বাধীন পুরবোর্ড। প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের নামে এই রাস্তার নামকরণ করা হবে।
নাম পরিবর্তনের এই প্রবণতা নিয়ে বামেরা তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির যোগসূত্র তুলে ধরছে। দুর্গাপুরের সিপিএম নেতা পঙ্কজ সরকার বলেছেন, “বামফ্রন্ট সরকার দুর্গাপুরে লেনিনের রাস্তার নামকরণ করেনি। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সেই রাস্তাটির নাম সম্ভবত প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষের নামে রাখা হয়েছিল। বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাস্তাটি পাকা করা হয়েছে।” রাস্তা চওড়া করা হয়েছে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে ওই রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। আগে তারা রাস্তা তৈরি করে। তারপর নামকরণের কথা ভাবুন। আমরা ওই রাস্তার নাম পরিবর্তন করতে দেব না। আমি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করব।”
Read More :
যদিও সিপিএমের আন্দোলনের হুঁশিয়ারিকে পাত্তা দিচ্ছে না তৃণমূল। সেই হিসাবে, 43 আসনের দুর্গাপুর পূর্ববোর্ডে বামেরা নেই। নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে বামেদের গর্জে উঠছে তৃণমূল শিবির। দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “অনেকবার, বিভিন্নভাবে রাস্তার নাম পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। এভাবেই আমরা বিভিন্ন বড় শিল্পীর নামে রাস্তার নামকরণ করছি। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদ প্রায় 26 টাকা খরচ করবে। সড়কটি সংস্কারের জন্য কোটি কোটি টাকা বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।এ ছাড়া দুর্গাপুরের আরও কয়েকটি রাস্তার নামকরণ হতে চলেছে। নতুন নামকরণ কী হবে তাতে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীদের প্রাধান্য রয়েছে। যেমন বেঙ্গল অম্বুজা-ইস্ট রোডের নাম পরিবর্তন করে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখার্জি সরণি করা হচ্ছে। বেঙ্গল অম্বুজা-পশ্চিম সড়কের নতুন নাম বাপ্পি লাহিড়ী সরণি এবং দুই বাংলার অম্বুজা-উত্তর ও দক্ষিণ সড়কের নাম পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় সরণি রাখা হয়েছে।