মির্জাপুর ধর্ষণ মামলা: মির্জাপুরের মন্ডল হাসপাতালে ভর্তি এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বাথরুমে গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণ করেছে সুইপার। এ খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশ মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত সুইপারকে গ্রেফতার করেছে।
মহিলা ভয়ে চুপ করে রইল
তথ্য অনুযায়ী, লালগঞ্জ থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী এক গর্ভবতী মহিলাকে গত ৭ মে বিভাগীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নির্যাতিতার অভিযোগ, রাতে সে বাথরুমে গিয়েছিল। এরই মধ্যে ঝাড়ুদারও ভেতরে চলে আসে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওই নারীর সঙ্গে অন্যায় করে। এ নৃশংস ঘটনা ঘটিয়ে সে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। তার সাথে ঘটে যাওয়া এই অপরাধে হতবাক হয়ে যান ওই নারী। মহিলা তখন চুপ করে রইলেন।
বাড়িতে যাওয়ার পর স্বামীকে দেওয়া তথ্য
মঙ্গলবার, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে পৌঁছে তিনি তার স্বামীর কাছে তার অগ্নিপরীক্ষার কথা বর্ণনা করেন। এরপর স্বামী বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছেছেন ডিএম, এসপি ও এএসপিরাও। বিষয়টি তদন্ত করা হয়। এরপর ওই নারীর স্বামীর অভিযোগে ঝাড়ুদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হয়। বুধবার সকালে পুলিশ সুইপারকে আটক করতে সক্ষম হয়।
Read More :
ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটেছে
মণ্ডল হাসপাতালে ধর্ষণের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও নারী রোগীর সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। কয়েক মাস আগে, সিসিইউ ওয়ার্ডে ভর্তি এক মহিলা রোগীকে প্রস্রাবের নল দিতে রুমে ঢুকেছিলেন এক সুইপার। ঝাড়ুদার মহিলার শ্লীলতাহানি করেন। এ নিয়ে নিহতের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে তোলপাড় ও ভাঙচুর চালায়। সিএমএস অনেক বোঝানোর পর বিষয়টি মিটে যায়। পরে হাসপাতাল প্রশাসন ঝাড়ুদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তাকে সরিয়ে দেয়।