বৃহস্পতিবার, 12 মে বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী। একে মোহিনী একাদশী বলা হয়। স্কন্দপুরাণের বৈষ্ণব অংশে একাদশী মাহাত্ম্য শীর্ষক অধ্যায়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবদের বড় ভাই যুধিষ্ঠিরকে একাদশীর উপবাসের কথা বলেছেন।
পুরীর জ্যোতিষী ডঃ গণেশ মিশ্র ব্যাখ্যা করেছেন যে একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুর উপবাস এবং বিশেষ পূজা করার একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এই দিনে ভগবান বিষ্ণু-লক্ষ্মীকে জল ও দুধ দিয়ে অভিষেক করুন। হলুদ ফুল দিয়ে পুজো। এরপর বিষ্ণুকে তুলসী পাতা নিবেদন করুন। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর অবতারদেরও পূজা করা উচিত। একাদশীতে বাল গোপালকে মাখন-মিশ্রীও দিতে হবে। এর পর ক্লীম কৃষ্ণায় নমঃ মন্ত্রটি জপ করুন। একাদশীতে সূর্যাস্তের পর শ্রীহরি ও তুলসীর পূজা করা উচিত।
এভাবেই করা যায় তুলসী পূজা
মোহিনী একাদশীর সন্ধ্যায় বাড়ির উঠোনে তুলসীর কাছে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রদক্ষিণ করুন। সূর্যাস্তের পর তুলসী স্পর্শ না করার জন্য বিশেষ যত্ন নিন। পূজায় শালগ্রাম জির মূর্তিও রাখতে হবে।
তুলসী ও শালিগ্রাম জিকে পূজার সামগ্রী যেমন মালা, ফুল, বস্ত্র ইত্যাদি অর্পণ করুন। ফল উপভোগ করুন। তুলসীর সামনে বসে তুলসীর মালা দিয়ে তুলসী মন্ত্র জপ করুন। জপ মন্ত্রের সংখ্যা কমপক্ষে 108 হতে হবে। মন্ত্র – ওম শ্রী তুলসায়ী বিদমহে। বিষ্ণু প্রিয়াই ধীমহি। তন্নো বৃন্দা প্রচোদয়াৎ।
Read More :
একাদশীতে আর কি কি শুভ কাজ করতে হবে
- অভাবী মানুষদের খাদ্য ও জল দান করুন।
- গৌশালায় গরু এবং সবুজ ঘাসের যত্ন নেওয়ার জন্য অর্থ দান করুন।
- বিষ্ণু মন্দিরে জল, দুধ এবং পঞ্চামৃত দান করুন।
- জলে দুধ মিশিয়ে ভোরবেলা পিপল গাছে নিবেদন করুন।
- অভাবী মানুষদের মৌসুমি ফল দান করুন।