উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলায় বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন বর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। বিয়ের দুদিন আগে বর অন্য মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় কনের বাড়িতে তোলপাড়। এরপর বরের পক্ষ ফোনে মিছিল আনতে অস্বীকার করে। এরপর কনে ও তার মা রথ থানা কোতয়ালীতে পৌঁছে গর্জনে কাঁদতে থাকে। আসলে, হামিরপুর জেলার রথ শহরের পাঠানপুরা মুহলের বাসিন্দা বিদ্যা দেবীর স্বামী শিবকুমার দুই দশক আগে মারা গেছেন। তিনি তার দুই মেয়েকে বড় করার জন্য গাল্লা মান্ডিতে শ্রমিক হিসাবে কাজ করেছিলেন। তিনি চার বছর আগে বড় মেয়ে ঊষাকে বিয়ে করেছিলেন যখন ছোট মেয়ে অনিতার (20) বিয়ে ঠিক হয়েছিল কানপুর নগরের দর্শনপুরায়। দর্শনপুরার বাসিন্দা রাহুল ভার্মার সঙ্গে অনিতার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। ১০ মে মিছিল আসার কথা ছিল, সেজন্য বাড়িতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন আত্মীয়-স্বজনরাও। রবিবার বাড়িতে মণ্ডপের আচার ছিল। হলদি অনুষ্ঠানের মাঝখানে মহিলারা বাড়িতে মঙ্গল গান গাইছিলেন, তখন বরের পরিবারের সদস্যরা ফোনে মিছিল আনতে অস্বীকার করেন।
Read More :
শেষ মুহূর্তে মিছিল আনতে রাজি না হওয়ায় কনের মা বিদ্যা দেবী জানান, বরের ভাই অনিল ফোনে জানিয়েছেন যে রাহুল অন্য মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে, তাই মিছিল আর আসবে না।ফোনও বন্ধ রয়েছে। .. মেয়েকে নিয়ে কোতয়ালীতে পৌঁছে বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন মা। রবিবার, নববধূ তার মায়ের সাথে রথ কোতোয়ালিতে পৌঁছে এবং পুরো বিষয়টি বর্ণনা করে বর এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করার জন্য অভিযোগ দায়ের করে। রথ থানার ইনচার্জ পরিদর্শক দীনেশ সিং জানিয়েছেন, তাহরিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।