মহোবা জেলার ছিখারা গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মীদের জন্য রাখা কলসি থেকে জল পান করায় এক দলিত ছাত্রীকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানার পর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার ছুটির দিনেও বিষয়টি তদন্ত করা হয়।
ব্যাপারটা কি?
মহোবার ছিখারা গ্রামের বাসিন্দা মেয়েটি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পানি পানের জন্য কলস রাখা হয়েছে। শনিবার শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা পাত্রটি খালি থাকায় তিনি শিক্ষকদের কলসি থেকে পানি পান করেন। এ নিয়ে সহকারী শিক্ষক কল্যাণ সিং তাকে মারধর করেন। মেয়েটি বাড়িতে পৌঁছে ঘটনাটি তার বাবা-মাকে জানায়। তার বাবা রমেশ কুমার অনেক গ্রামবাসীকে নিয়ে স্কুলে পৌঁছান। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) জিতেন্দ্র সিং অতিরিক্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় মেয়েটির পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী তহসিল অফিসের বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি করে।
Read More :
বিএসএ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছে
ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, তখনও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক জাতিভেদ শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। এরপর সবাই তহসিলে পৌঁছে হট্টগোল সৃষ্টি করে এবং ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। অতিরিক্ত বিএসএ গৌরব শুক্লা রোববার বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। মেয়েটি বলেছে, এর আগে কখনো তার প্রতি বৈষম্য করা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জমা দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক কল্যাণ সিং বলেন, ‘শিক্ষার্থী কলসিতে হাত দিয়ে গ্লাস থেকে জল বের করছিল। এ জন্য তাকে বকাবকি করা হয় এবং আমি ওই ছাত্রকে মারধর করিনি।