বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথিতে গঙ্গা সপ্তমী পালিত হয়। যা ৮ই মে রবিবার। এই উৎসবে গঙ্গাস্নান, উপবাস-পূজা ও দান বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। যাঁরা কোনও কারণে এই দিনে গঙ্গায় স্নান করতে পারেন না তাঁরা বাড়িতে গঙ্গাজল মিশিয়ে স্নান করতে পারেন। এতে করে তীর্থযাত্রা করার পুণ্য পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে এই দিনে জল ভর্তি পাত্র দান করলে অশেষ পুণ্য পাওয়া যায়।
এই তারিখে গঙ্গা পুনঃআবির্ভূত হয়
পুরীর জ্যোতিষী ডাঃ গণেশ মিশ্র বলেন যে মহর্ষি জাহ্নু যখন তপস্যা করছিলেন। তারপর গঙ্গা নদীর জলের শব্দে বারবার তার মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হতে থাকে। তাই তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে নিজের দৃঢ়তার জোরে গঙ্গা পান করলেন। কিন্তু পরে তিনি ডান কান দিয়ে গঙ্গাকে পৃথিবীতে রেখে যান। তাই এটিকে গঙ্গার আবির্ভাবের দিন হিসেবেও ধরা হয়। তখন থেকেই গঙ্গার নাম হয় জাহ্নবী।
শ্রীমদ্ভাগবতে গঙ্গা
শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণে গঙ্গার মহিমা বর্ণনা করতে গিয়ে শুকদেব জি রাজা পরীক্ষিতকে বলেন যে, রাজা সগরের পুত্ররা যখন গঙ্গার জলে দেহের ভস্ম মিশিয়ে মোক্ষ লাভ করেছিল, তখন তারা কল্পনাও করেনি যে কয়েক ফোঁটা গঙ্গাজল পান করলে যে পুণ্য লাভ হবে। আর তাতে গোসল করা যায় তাই বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথিতে গঙ্গায় স্নান, অন্ন-বস্ত্র দান, জপ ও উপবাস করলে সকল প্রকার পাপ দূর হয়।
গঙ্গা স্নানের মাধ্যমে এই ১০টি পাপের অবসান হয়
বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথিতে গঙ্গা নদীতে স্নান করলে পাপ নাশ হয় এবং অনন্ত পুণ্য লাভ হয়। এই দিনে গঙ্গা স্নান করলে দশ প্রকার পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
স্মৃতিগ্রন্থে দশ প্রকার পাপের কথা বলা হয়েছে। শারীরিক, মৌখিক এবং মানসিক। তাদের মতে, অন্যের বস্তু গ্রহণ করা, শাস্ত্রে বর্ণিত হিংস্রতা করা, বিদেশী নারীর কাছে যাওয়া, এই তিন ধরনের শারীরিক পাপ।
Read More :
মৌখিক পাপের মধ্যে রয়েছে তিক্ত হওয়া এবং মিথ্যা বলা, নিজের পিছনে খারাপ কাজ করা এবং বাজে কথা বলা। এগুলি ছাড়া অন্যের জিনিস অন্যায়ভাবে নেওয়ার চিন্তা করা, কারও খারাপ করার ইচ্ছা মনে রাখা এবং অন্যায় কাজের জন্য জেদ করা, এই তিন প্রকারের মানসিক পাপ।