হোলি উৎসব ফাল্গুন মাসের (ফাল্গুন পূর্ণিমা) পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয়। হোলির আগের আট দিনকে হোলাষ্টক বলা হয়। এবার হোলাষ্টক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১০ মার্চ থেকে। হোলাষ্টক শব্দটি হোলি ও অষ্টক দিয়ে গঠিত। হোলাষ্টকের সময় গৃহপ্রবেশ, শেভিং, বাগদান, বিবাহ ইত্যাদি কোন শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ। তবে পূজা ইত্যাদির দিক থেকে এই সময়টিকে খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এর পেছনে হিরণ্যকশিপু ও প্রহ্লাদের গল্প বলা হয়েছে। কিন্তু জ্যোতিষীদের মতে, এছাড়াও অন্যান্য কারণ রয়েছে, যার কারণে হোলাষ্টকের সময়টি শুভ কাজের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয় না। এখানে জেনে নিন হোলাষ্টকের সময় কেন শুভ কাজ করা নিষেধ।
এটি জ্যোতিষশাস্ত্রীয় কারণ
জ্যোতিষীদের মতে, হোলাষ্টকের দিনগুলিতে পরিবেশে নেতিবাচকতার প্রভাব থাকে। সমস্ত গ্রহের প্রভাব নেতিবাচক হয়ে যায়। হোলাষ্টক শুরু হয় অষ্টমী তিথি থেকে। এমন অবস্থায় অষ্টমী তিথিতে চন্দ্র, নবমীতে সূর্য, দশমীতে শনি, একাদশীতে শুক্র, দ্বাদশীতে গুরু, ত্রয়োদশীতে বুধ, চতুর্দশীতে মঙ্গল এবং পূর্ণিমায় রাহু অত্যন্ত নেতিবাচক অবস্থানে থাকে। এটি ব্যক্তির চিন্তা করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে, যার কারণে একজন ব্যক্তি ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এ ছাড়া এই সময়ে কোনো শুভ কাজ করলেও গ্রহের নেতিবাচক প্রভাবে তাদের সহযোগিতা পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে আপনার কাজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতির প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচাতে প্রভুর নাম স্মরণ করতে বলা হয়। তাই হোলাষ্টকে ভগবানের নাম গ্রহণ ও পূজা পাঠ করা অত্যন্ত শুভ, তবে শুভকাজ নিষিদ্ধ।
Read More :