ডিজিটাল ডেস্ক: এগারো দিনে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তবে শনিবারের পর রোববারও সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। তবুও রুশ সামরিক আগ্রাসন থামেনি। এ অবস্থায় মার্কিন সেনা না পাঠালেও ‘বন্ধু’ ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ইতোমধ্যে ইউক্রেন ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে যুদ্ধবিমানের জন্য আবেদন করেছে। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পোল্যান্ড ইতিমধ্যে একই কাজ করেছে।ইউক্রেন শক্তিশালী রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আগামীকাল যুদ্ধে আরও সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছতে হলে আমাদের আরও যুদ্ধবিমান দরকার। জেলেনস্কি সব দেশকে তার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বিডেন অনুরোধে সাড়া দেওয়ার জন্য পোল্যান্ডকে অনুরোধ করেছেন। হোয়াইট হাউস বলছে, ইউক্রেনকে যুদ্ধজাহাজ দিয়ে সাহায্য করলে পোল্যান্ডের ক্ষতি পূরণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। বিমানের জ্বালানি ও অন্যান্য খরচ বহন করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখানেই গল্পের শেষ নয়, ইউক্রেনের অন্যান্য বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধজাহাজ নিয়ে তদবির শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোল্যান্ডও প্রস্তাবে রাজি হয়েছে।
এর মধ্যে, জেলেনস্কি এবং বিডেন আজ রবিবার আবার ফোনে কথা বলেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কথোপকথনের বিষয়ে টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, তারা ইউক্রেনের নিরাপত্তার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সাহায্যের কথা বলেছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার বিষয়েও কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা কথা হয় দুই নেতার মধ্যে।
Read More :
এদিকে যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট মস্কো পৌঁছেছেন। সূত্রের খবর, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। পরে তিনি জেলেনস্কির সাথে দেখা করেছিলেন বলে জানা গেছে। এরপর বেনেট জার্মানি চলে যান। চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করার সুযোগ।