বৈঠকের শুরুতেই শুরু হয় বিজেপির ভাবনা। রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে উপস্থিত হননি। পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভোটে ব্যর্থতার পর্যালোচনা নিয়ে আলোচনা কিন্তু বিরোধী দলনেতা নেই! প্রশ্ন উঠছে দলের মধ্যেই।সূত্র জানায়, শুভেন্দু অধিকারী তার আগের রাতে তাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি আসতে পারবেন না। কিন্তু শুভেন্দু কেন এলেন না তা নিয়ে দলের মধ্যেই মহড়া শুরু হয়েছে। শুধু শুভেন্দু নন, বৈঠকের শুরুতে ছিলেন না ভাটপাড়ার সাংসদ অর্জুন সিং। অনেক পরে তিনি সভায় যোগ দেন। দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক লকেট চ্যাটার্জিকে মঞ্চে ডাকা হয়নি। লকেট দর্শকদের বসতে হয়। যদিও দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পল, সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তী এবং অমিত মালব্য মঞ্চে ছিলেন, লকেটটিকে জায়গা দেওয়া হয়নি। আসলে, বৈঠকের আগেও লকেট বিজেপি নেতৃত্বকে আত্মসমালোচনার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আজকের বৈঠকে লকেটটি বিস্ফোরিত হতে পারে বলে অনেকেই অনুমান করছিলেন। সম্ভবত একটি ফ্যাক্টর কেন তারা এত খারাপভাবে করছেন।
সুকান্ত মজুমদার অবশ্য এদিন দলের মধ্যে ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। স্বাগত বক্তব্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আজ আমরা সবাই মিলে আলোচনা করে পথ ঠিক করব।” উপর থেকে আরোপ করার প্রয়োজন নেই। এখানে যাদের কথা বলার সুযোগ নেই, তারা লিখিতভাবে পরামর্শ দেবেন। দলবদ্ধভাবে সম্পাদিত কর্ম. পার্টিতে উপরোক্ত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নিখুঁত সিদ্ধান্ত বলে কিছু নেই। একই বক্তৃতায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল সিপিআইএমকে ভোট দিয়ে বিজেপির ভোট ভাগ করার চেষ্টা করছে। বিজেপিকে আক্রমণ করা হচ্ছে। যদিও শাসক দল সিপিএমের তরফেও ছাপাচ্ছে। “
Read More :
তবে সুকান্তর নতুন ‘অজুহাতে’ বদল এসেছে তৃণমূল থেকেও। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “নিজের দিকে তাকান। আত্মসমালোচনা। যারা নিজেদের ওয়ার্ড, বুথ রক্ষা করতে পারে না, জনগণের ভোট পায় না, জনগণের আশীর্বাদ পায় না, তারা চেয়ার রক্ষায় এমন গল্প বলছে। বাংলায় বিজেপি অপ্রাসঙ্গিক। “সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি নেতারা কর্মীদের জবাব দিতে পারছেন না। প্রশ্নে বিরক্ত। তাই বাজে কথা বলছেন। সবাই জোটের গল্প জানেন, বাস্তবে তৃণমূল ও বিজেপির জোট আছে।”