রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে শুক্রবার পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এখন পর্যন্ত ন্যাটো ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করেনি। এমতাবস্থায় সবার চোখ থাকবে এই বৈঠকে ইউক্রেন নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়।
এখন পর্যন্ত ন্যাটো সদস্য দেশগুলো যুদ্ধে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ থেকে দূরে থেকেছে। এর কারণ হতে পারে যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হুমকি যে এই যুদ্ধের মাঝামাঝি যে কোনো তৃতীয় দেশ বা সংস্থা আসবে তাকে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ন্যাটো বলছে যে ইউক্রেন এখনও এর সদস্য হয়নি, তাই তারা সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করবে না। তবে তিনি পরোক্ষভাবে ইউক্রেনকে সাহায্য করছেন এবং প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি বাড়িয়েছেন। এর অর্থ হলো, রাশিয়া ইউক্রেন ছাড়া ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশ আক্রমণ করলে রাশিয়াকে মোকাবেলা করতে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে বিশ্বের শক্তিশালী এই সংস্থাটির সেনাবাহিনী।
ন্যাটো বলছে, তারা বেশ কিছু জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এর মধ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তা ও প্রতিশোধমূলক কাঠামো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ন্যাটো আমেরিকার সাথে অনেক বড় যুদ্ধ করেছে। ইউক্রেনের সদস্যতা নেওয়ার প্রচেষ্টায় রাশিয়া ক্ষুব্ধ হয়েছে এবং আক্রমণ করেছে।
কৌশলগত কৌশল বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার সাথে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ না হওয়া পর্যন্ত ন্যাটো এই যুদ্ধে নামবে না। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমেরিকার পাশাপাশি ন্যাটোও প্রস্তুতি নিয়েছে। আপাতত পশ্চিমা দেশগুলো চায় রাশিয়া পরাজিত হোক এবং অর্থনৈতিক ও বিমান অবরোধ করে তার মনোবল ভেঙ্গে যাক, কিন্তু নয় দিন পেরিয়ে গেলেও রাশিয়া দুর্বল হয়নি। তার সৈন্যরা প্রতিনিয়ত আক্রমণ করছে।