রাশিয়া ইউক্রেন সংকট: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব এখন বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতির আকারে দৃশ্যমান। বিশেষ করে আগামী দিনে এ কারণে বড় ধরনের খাদ্যশস্যের দাম বাড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে গমের দাম 14 বছরের সর্বোচ্চ। ফিউচার বাণিজ্যে গমের দাম বুশেল প্রতি 10 ডলারে পৌঁছেছে। যদি আমরা কিলোগ্রামের ভিত্তিতে বুঝি, তাহলে এক বুশেল মানে 35 কেজি। এটি 2008 সালের পর গমের সর্বোচ্চ হার। গত এক মাস ধরেই বাড়ছে গমের দাম। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর তা আরও বেড়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনে গম বড় আকারে উত্পাদিত হয়। কিন্তু যুদ্ধের পর থেকে এর সরবরাহ চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একদিকে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অনেক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, অন্যদিকে ইউক্রেন এখন আর রপ্তানির মতো অবস্থায় নেই। এ কারণে দাম বাড়ার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শুধু গত এক মাসেই গমের দাম বেড়েছে 30 শতাংশ। রাশিয়া ও ইউক্রেন একসাথে বিশ্বের এক চতুর্থাংশ খাদ্যশস্য রপ্তানি করে। কিন্তু যুদ্ধের ফলে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রুশ হামলার পর থেকে পণ্যবাহী জাহাজগুলো কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।
Read More :
শুধু তাই নয়, Bunge Ltd এবং Archer-Daniels-Midland Co-এর মতো কোম্পানিগুলিও আপাতত উভয় দেশে তাদের সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। কৃষ্ণসাগর দিয়ে কোনো পণ্য রপ্তানি হয় না। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে গমসহ অন্যান্য খাদ্যশস্যের দাম। শুধু তাই নয়, যুদ্ধ চলতে থাকলে এ সংকট আরও গভীর হতে পারে। ইউক্রেনে বসন্ত মৌসুমে ভুট্টা বপন করা হয়, কিন্তু যুদ্ধের কারণে এই কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্বে ভুট্টা রপ্তানিকারক শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে ইউক্রেনের নাম। এমতাবস্থায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় আগামী দিনে যে সংকট আরও গভীর হতে পারে তা স্পষ্ট।