ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) শুরু হল সাত দিনে। কিয়েভ বা খারকভ সহ দেশের বিভিন্ন শহরে অকল্পনীয় প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে। শুধু ইউক্রেনের সেনাবাহিনী নয়, বেসামরিক লোকজনও অস্ত্র তুলে নিয়েছে। পুতিন তাদের সম্মিলিত প্রতিরোধ প্রতিহত করেন। ফলস্বরূপ, কিয়েভ এখনও দখল করা হয়নি। দখল হারিয়েও দারুণ হয়েছেন খারকভ। কিন্তু এমন উত্তেজনার মাঝেই সামনে এসেছে উল্টো চিত্র!
ইউক্রেনে অপরাধ বাড়ছে। অস্ত্র পাওয়ার ফলে এর অপব্যবহারও হচ্ছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে৷ ভিডিওতে গঞ্জালো লিরা নামে একজন লেখক দাবি করছেন যে অপরাধীরা বেসামরিক লোকদের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়েছে৷ ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ডাকাতি ও ধর্ষণ বেড়েই চলেছে।
His name is Gonzalo Lira, a famous (banned) guy on YouTube.
— Yash Thackeray (@thackeray_yash) February 28, 2022
He is stuck in Kyiv, Ukraine. He explains how the desperate actions of the Ukrainian Pres of lending firearms has backfired, big time.
No Western media will ever cover this. Unbiased, fair reporting frm ground zero pic.twitter.com/UFFy8fUzcs
লিরার কথায়, “গত রাতে কিয়েভে প্রচুর বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। রাশিয়ানদের এর সাথে কিছু করার নেই। রাশিয়ানরা এখনও 10 কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এটি সম্ভবত একটি দুষ্ট চক্রের কাজ।” তিনি দাবি করেছেন যে অপরাধীরা সরকারের দেওয়া অস্ত্র পাওয়ার পর আরও সক্রিয় হন।
এছাড়া পশ্চিমা মিডিয়াকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। পক্ষপাতদুষ্ট গণমাধ্যম এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। “আমি ভয় পাচ্ছি, সম্ভবত রাশিয়ান বা ইউক্রেনের সেনাবাহিনী নয় যে, একজন সাধারণ অপরাধী আমাকে গুলি করে হত্যা করবে,” তিনি বলেছিলেন।
Read More :
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) দেশপ্রেমের একাধিক আবেগঘন বিহ্বল ছবি সামনে আসছে। রুশ বাহিনীকে উচ্ছেদ করা থেকে বিরত রাখতে সাধারণ মানুষ অনেক শহরে নামছে। গতকালও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখা যায়, একজন যুবক ইউক্রেনীয় ব্যক্তি রাস্তা থেকে একটি ল্যান্ডমাইন তুলে কাছাকাছি একটি খালি জায়গায় সরিয়ে দিচ্ছেন। আরেকটি দৃশ্য দেখা গেল বাচম্যাক শহরে। একজন ব্যক্তি চলন্ত রাশিয়ান ট্যাঙ্কের উপর ঝাঁপ দেন। রাশিয়ান ট্যাঙ্কগুলি তাকে বিরক্ত না করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু একই সঙ্গে এই উল্টো চিত্রও সামনে এসেছে।