ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী প্রচারে বিরোধীরা যাকে সরকারের ব্যর্থতা বলছে, তা-ই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের রবার্টসগঞ্জে এক নির্বাচনী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন যে ভারত সরকার যেভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধার করছে তা প্রমাণ করে যে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের শক্তি বাড়ছে।
আজ এখানে একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ, বিশ্ব মঞ্চে ভারতের ক্রমবর্ধমান শক্তির সাথে, আমরা ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের সফলভাবে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। সেই কারণেই আমরা অপারেশন গঙ্গা পরিচালনা করছি।” “আমরা সবকিছু করছি। ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা সম্ভব,” মোদি দাবি করেন। ভারতীয়দের উদ্ধারে আমরা ইতিমধ্যেই চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাঠিয়েছি। প্রত্যেক ভারতীয় যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে তার জন্য কেন্দ্র যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।
আসলে, সরকার ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য উদ্ধতভাবে প্রচার চালাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে অপারেশন গঙ্গার সুবিধা নিতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। কিন্তু বাস্তবতা হল এই অপারেশনের সাফল্য যতটা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে তার থেকে অনেক কম। যুদ্ধ শুরুর প্রায় এক থেকে সাত দিন পরেও অনেক ভারতীয় ইউক্রেনে আটকা পড়ে আছে। সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে প্রায় 20,000 ভারতীয় ইউক্রেনে আটকা পড়েছিলেন। এরপর থেকে মোদি সরকার তাদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে। তাদের মধ্যে মাত্র দুই হাজার দেশে ফিরেছেন। চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ এখনও বিমানের জন্য অপেক্ষা করছে। হাজার হাজার ভারতীয় এখনও ইউক্রেনে আটকা পড়ে আছে।
Read More :
বিরোধী দলগুলি বিধানসভা বয়কটের ডাক দেয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা ইতিমধ্যেই বলেছেন, “সরকার যেভাবে উত্তরপ্রদেশের ভোটের প্রচার চালাচ্ছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনে যাচ্ছেন এবং বলছেন যে এটি একটি ভাল জিনিস। কিন্তু সরকারকে এই বিষয়ে আরও গুরুত্ব সহকারে ভাবা উচিত।” তৃণমূল সহ-সভাপতি বলেন, সরকার আগে থেকেই জানত এটা ঘটবে। তাহলে এত ধীরগতির কেন? ইউক্রেনের আকাশপথ বন্ধ থাকলেও ভারতীয় দূতাবাসের উচিত ছিল সব ভারতীয়দের আগেই সীমান্তে পাঠানো। “এখন পর্যন্ত, সরকার চারজন মন্ত্রীকে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলিতে পাঠিয়েছে, যা আরও আগে করা উচিত ছিল। আজ, ভারত সরকারের মানসিকতার জন্য, ভারতীয় ছাত্ররা ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছে।”
